গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগের আলোকচিত্র ও আলোচনা সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই তার নেতৃত্বে শুধু আওয়ামী লীগই ঘুরে দাঁড়ায়নি, ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তিনি ফিরিয়ে এনেছেন ‘জয় বাংলা’। ফিরে এসেছে ‘৭১’। ফিরে এসেছেন ‘বঙ্গবন্ধু’। তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেক নেতাকর্মীনের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে চক্রান্তকারীরা পরাস্ত হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনীতে বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ সাতদিনব্যাপী ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ ও ‘বিশ্বে আজ ধ্রবতারা শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এই চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার কারণেই বাংলাদেশ তার জায়গায় ফিরে এসেছে। এটিই ছিল তার বড় চ্যালেঞ্জ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু আওয়ামী লীগই ঘুরে দাঁড়ায়নি, ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তিনি ফিরিয়ে এনেছেন ‘জয় বাংলা’, ফিরে এসেছে ‘৭১’, ফিরে এসেছেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর এদেশে অমানিশার অন্ধকার নেমে এসেছিল। দেশের উন্নয়নের চাকা থেমে গিয়েছিল। দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ঘাতকরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করেছিল। রাজনীতিতে গণতন্ত্রের লেশমাত্রও ছিল না। ঠিক সেই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার মধ্যদিয়ে দেশের হাল ধরলেন। তার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সব ক্ষেত্রে প্রশংসনীয়।
বক্তারা বলেন, সমৃদ্ধশালী এ বাংলাদেশকে বিভিন্ন সময়ে বর্গী নামক বেনিয়ারা লুটপাট করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সব অগ্রযাত্রা বন্ধ করে দেয় তারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরে অগ্রযাত্রার রুদ্ধদ্বার খুলে দিয়ে উন্নয়নের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু চক্রান্তকারীদের দোসররা এখনও সক্রিয়। তাই সবাইকে সজাগ থাকার কথাও বলেন তারা। সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর দীর্ঘদিন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। এটা ছিল বেদনার ইতিহাস। দিনের পর দিন দেশে আসতে পারেননি স্বজনহারা এই মানুষটি। কিন্তু দেশে ফেরার আকুলতা ছিল সব সময়ই। সেই আকুলতা থেকেই চেষ্টা করেছেন দেশে ফেরার। নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছেনও ফিরে। আর অমানিশার আঁধার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে এগিয়েছেন সামনের দিকে, এগিয়ে দিয়েছেন দেশকে। এখনও অগ্রযাত্রা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছে সামনের দিকে। তিনি বলেন, দেশ আজকে নি¤œমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এটা কেবল সম্ভব হয়েছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই।
ওমর ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে স্বস্তির সময় কাটাচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠনটি এ রকম চাপহীন অবস্থায় অতীতে কখনও ছিল না। তবে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত কিন্তু বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে প্রত্যেক নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ৭৫ সালে জাতির পিতাকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছে। সেই চক্র এখনও সক্রিয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি আগামী ১০ বছর বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকলে বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও উন্নয়ন রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তবে কীভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থেকে নামানো যায়, সেই চক্রান্ত চলছে। এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও প্রত্যেক সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে। তাহলেই তারা পরাস্ত হবে।
একুশে টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্বে না থাকলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নামে যে কালিমা লেপন করা হয়েছিল তা মুছে ফেলতে পারতেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মাধ্যমে তিনি কলঙ্ক মোচন করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল আহসান খান বলেন, দেশ বিরোধীরা এখনও সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে-এটা তারা চায় না। তাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ প্রত্যেক সংগঠনের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শহীদ সেরনিয়াবাদ, আবদুস সাত্তার মাসুদ, বেলাল হোসেন, এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মঞ্জুরুল আলম শাহীন, সুব্রত পাল, ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।