নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফিলিপাইন আর মিয়ানমারকে গ্রুফে উড়িয়ে দিয়ে এএফসি কাপের চূড়ান্ত আগেই নিশ্চিত করেছে পর্ব অদম্য কিশোরীরা। চ্যালেঞ্জ ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেজন্য বাংলাদেশকে হারাতে হতো শক্তিশালী চীনকে। সেটি আর করা হলো না, চীনের প্রাচীরে বাধা পড়ল মারিয়া-মনিকা-তহুরারা। গতকাল মিয়ানমারের মানডালার থিরি স্টেডিয়ামে চীনের কাছে ০-৩ ব্যবধানে হার দিয়েই অনুর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় পর্ব শেষ করলো গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
স্কোরলাইন বাংলাদেশ ০ এবং চীন ৩। সাদা চোখে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ স্পষ্ট। অবশ্য স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা লড়াকু বাংলাদেশকেই দেখেছেন। এই গ্রুপে চীন হট ফেভারিট দল। এই পর্যায়ে দু’বার ফিফা বিশ্বকাপও খেলেছে তারা। শারীরিক সামর্থ্য ও টেকনিক্যালি তারা যোজন যোজন এগিয়ে। ফিলিপাইন ও মিয়ানমারের বিপক্ষে খুব সহজভাবেই জিতেছিল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটি।
ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একাদশ খেলালেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মূল একাদশই খেলিয়েছে চীন। বাংলাদেশ কিছুটা রক্ষণাতœক কৌশলে খেলে এই ম্যাচটা। বল পজেশন, আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল। ২৯ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ নিজেদের দুর্গ সামলে রেখেছিল। ডিফেন্ডার নাজমা আক্তার চীনের কুশলী ফরোয়ার্ডদের দারুণভাবে রুখে দিয়েছিলেন। ২৯ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে ওয়াং জিনলিং একা বক্সে প্রবেশ করে স্কয়ার পাস দেন জিনওয়াওকে। বক্সের মধ্যে অরক্ষিত পোস্টে বল জালে পাঠাতে কষ্ট হয়নি জিনওয়াও’র (১-০)। মিনিট দুয়েক পর চীনের আরেকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ। গোলকিপার রুপনা চাকমার অসাধারণ দক্ষতায় এযাত্রায় রক্ষা হয় বাংলাদেশের। চীনের আক্রমণের বিপরীতে বাংলাদেশ প্রতি আক্রমণের চেষ্টাও করে। সেটা অবশ্য চীনের বিপদ সীমানার আশে পাশে গিয়েই শেষ হয়। ৩২ মিনিটে তহুরা মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে বক্সে প্রবেশ করেন। বক্সের মধ্যে মাইনাস করেন পজিশন মতো। কিন্তু বাংলাদেশের কেউ না থাকায় আর সুযোগ তৈরি হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই আঁখি খাতুন ও গোলকিপার রুপনা চাকমার ভুলে খানিকটা ছন্নছাড়া বাংলাদেশ। আঁখি খাতুন বল রিসিভ করতে ভুল করেন। আঁখির মিস করা বল গোলকিপার রুপনা এগিয়ে এসে ধরতে পারেননি। চীনা ফরোয়ার্ড শাও জিকিন প্লেসিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন (২-০)। মিনিট ছয়েক পর চীনের প্লে মেকার ওয়াং নিজেই গোল করেন। ডান প্রান্ত থেকে পাসে বক্সে বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে বল জালে জড়ায় (৩-০)। তিন গোলে পিছিয়ে পড়লেও বাংলাদেশ দল লড়াই করেছে। গোলের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছে চীনও। বাংলাদেশের রক্ষণের দৃঢতায় আর পারেনি। ৮২ মিনিটে বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মারিয়ার নেয়া ফ্রি কিক পোস্টের একটু উপর দিয়ে যায়।
প্রথম ম্যাচে ফিলিপাইনকে ১০-০ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে মিয়ানমারকে ১-০ গোলে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তবে চীনকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে পারেননি মারিয়া, আঁখি, রুপনারা। স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারানোয় চীনেরও চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হয়েছিল এক ম্যাচ আগেই। সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে গ্রুপ রানার্স আপ হিসেবেই অংশ নিবে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।