পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ডে দগ্ধ জাকির হোসেন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। গতকাল সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আগুনে তার শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, আগুনে জাকিরের শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি বার্ন ইউনিটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) ভর্তি ছিলেন।
স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সাল থেকে জাকির চকবাজারের পূর্ব ইসলামবাগে ফয়েজউদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন। এখানেই তিনি লালিত পালিত হন এবং পরবর্তীতে ফয়েজউদ্দিনের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ফয়েজের ছেলে নাফিজউদ্দিন তুহিন বলেন, জাকির স্ত্রী খোদেজা বেগম এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার বাবার নাম মৃত আবদুর রশিদ। ফায়ার সার্ভিস ও ঢামেক সূত্র জানায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। একদিন পরে ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল। এছাড়া আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ও গুরুত্বর আহত অবস্থায় ১১ জনকে ঢামেকের বার্ন এবং ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক সূত্র জানায়, চকবাজার অগ্নিকান্ডে দগ্ধদের মধ্যে ঢামেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১ জন। এর মধ্যে বার্ন ইউনিটে ৯ জন ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগে দু’জন। বার্ন ইউনিটে থাকা ৯ জনের মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ এবং গত শুক্রবার ভোরে রেজাউলের মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও তিনজনকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যান।
বর্তমানে যারা বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন- তাদের মধ্যে মাহামুদুলের (৫২) শরীরের ১৩ শতাংশ ও সেলিমের (৪৪) ১৪ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। তাদের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্যাজুয়ালটি বিভাগে রবিউল (২৮) ও কাওসার (৩৫) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পৃথক অগ্নিকান্ডে এক গৃহবধূর মৃত্যু
এদিকে, পৃথক অগ্নিকান্ডে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ২৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হার মেনেছেন সালমা বেগম নামে এক গৃহবধূ। গত শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। জানা গেছে, নিহত সালমা মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়ার স্ত্রী। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মাটির চুলায় রান্না করার সময় অসাবধানতাবশত তিনি অগ্নিদগ্ধ হন।
সালমার স্বামী রুবেল মিয়া বলেন, তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার দুই বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার পর প্রথমে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও পরে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অসহায় রুবেল মিয়া অনেকের কাছ থেকে ধার দেনা এবং আর্থিক সাহায্য নিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করালেও শেষমেষ তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।