নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের টিকিট সংগ্রহেও উচ্ছ¡াস করেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে ১ম ম্যাচের টিকিটের মতো দ্বিতীয় ম্যাচের টিকিট সংগ্রহেও হয়েছে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা। গতকাল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের খানজাহান আলী রোড শাখায় সকাল ৯টা ৪৫ থেকে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আগের দিন বেলা সোয়া ১২টায় টিকিট বিক্রি শেষ হয়, এদিনও সেই একই সময়ে টিকিট বিক্রি শেষ বলে জানিয়ে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি এ দিন তারা প্রায় ৭ হাজার টিকিট বিক্রি করেছে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের পর গতকাল টিকিট সংগ্রহে আরও বাড়তি উচ্ছ¡াস ছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। শুক্রবার রাত থেকেই অনেকে ব্যাংকের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। এদের অনেকেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে ব্যাংকের সামনে বসে ও দাঁড়িয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। এদের কেউ কেউ টিকিট হাতে পেয়ে আনন্দে উচ্ছ¡সিত হয়েছেন আর অনেকেই সারারাত ধরে ব্যাংকের সামনে থেকে সকালে লাইনের পিছনে পড়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি।
টিকিট বঞ্চিতদের সব থেকে বড় অভিযোগ ছিল ব্যাংকের সামনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ অনেককেই লাইনের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে, অনেককেই সরাসরি ব্যাংকের ভিতরে পৌঁছে দিয়েছে, এমনকি দায়িত্বে থাকা পুলিশ নিজেও ব্যাংক থেকে সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে।
লাইনের দাঁড়িয়েও টিকিট প্রত্যাশীদের নানা প্রতিকূলতার শিকার হতে হয়। লাইনে দাঁড়িয়েও ধাক্কা-ধাক্কিতে ছিটকে পড়ে পিছনে যেতে হয় অনেককে। আবার অনেককে টিকিট না নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে কয়েকদফা লাঠিচার্জও করতে হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন টিকিট প্রত্যাশী। বিশৃঙ্খলা ছিলো নারীদের লাইনেও। একটি চক্র বস্তির মহিলাদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করে কালো বাজারে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ অনেকের। টিকিট বিক্রি চলাকালে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সামনে কথা হয়, লাইন থেকে ছিটকে পড়া বিএল কলেজের রাষ্ট্র্রবিজ্ঞানের ২য় বর্ষের ছাত্র হৃদয়, আলিফ, হাসান, ও শাওন ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, টিকিটের প্রত্যাশায় ভোর ৫টার সময় এসে লাইনের দাঁড়িয়েছি। লাইনে দাঁড়িয়েও ধাক্কা-ধাক্কির কারণে লাইন থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে। ফলে টিকিট না নিয়েই বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। ব্যাংকের একটি মাত্র শাখায় টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকায় এমন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। সিটি কলেজ ছাত্রী আঁখি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। অনেক আগেই টিকিট নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারতাম। তবে, সামনে থেকে বস্তির কিছু মহিলা টিকিট সংগ্রহ করার পর আবারও টিকিট সংগ্রহে লাইনে দাঁড়িয়েছে। ফলে টিকিট প্রাপ্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত টিকিট পাব কিনা জানি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।