টেকনাফে পুলিশ-বিজিবির সাথে পৃথক
বন্দুকযুদ্ধে ৪জন মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এসময় লক্ষাধিক ইয়াবা, ৪টি অস্ত্র, তাজা কার্তুজ ও খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পুলিশ-বিজিবির ৫জন সদস্য আহত হয়েছে বলে
জানাগে।
১ মার্চ ভোররাত ৩টারদিকে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আটক ডাকাত, ইয়াবা কারবারী ও সন্ত্রাসী পৌর এলাকার চৌধুরী পাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র নজির আহমদ ডাকাত (৩০) ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার হাজী মোহাম্মদ জাকারিয়ার পুত্র গিয়াস উদ্দিন (২৯) কে নিয়ে পুলিশের বিশেষ দল বটতলী সংলগ্ন নাফনদীর সুলিশ গেইট এলাকায় অভিযানে গেলে তাদের অনুসারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
এসময় টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এএসআই খায়রুল, কনস্টেবল এরশাদুল ও হেলাল উদ্দিন আহত হয়। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করলে নজির ও গিয়াস গুলিবিদ্ধ হয়।
ঘটনাস্থল হতে ৬ হাজার ইয়াবা, ৩টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে ভোর সাড়ে ৫টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের নাঃ সুবেঃ মোঃ শাহ আলমের নেতৃত্বে ১টি টহল দল দ্রুত সাবরাং মগপাড়া কাকঁড়া প্রজেক্ট এলাকায় গেলে ইয়াবা পাচারকারীরা টহলদলের উপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। এসময় বিজিবি টহলদলের একজন সদস্য আহত হয়। বিজিবিও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষন করলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮-১০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়।
ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে এক লাখ পিস ইয়াবা বড়ি, ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও ১টি খালী কার্তুজ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোনকার পাড়ার কালা মিয়ার পুত্র আব্দুস শুক্কুর (৪৩)গুলিবিদ্ধ ও অজ্ঞাত ১জনসহ দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করে।
আহত বিজিবি সদস্যকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ব্যাপারে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।