Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবীর সমান শতাধিক গ্রহের মধ্যে বাসযোগ্য ছোট নয়টি চিহ্নিত

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আমাদের সৌরজগতের গভীরে অধিকাংশ বামন গ্রহের অবস্থান এবং এই গ্রহগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি গত এক দশকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক গ্রহ এখনো অনাবিষ্কৃত এবং রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। নাসা জানিয়েছে, মহাশূন্য পর্যবেক্ষণকারী দুটি উপগ্রহের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে তারা সৌরজগতের সেই অজানা বিশ্বের বৃহদাংশের সন্ধান পেয়েছেন।
এছাড়াও নাসার কেপলার টেলিস্কোপ একশোরও বেশি পৃথিবীর আকারের গ্রহ আবিষ্কার করেছে, যেগুলো দূরবর্তী নক্ষত্রসমূহকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। বিবিসি বলছে, টেলিস্কোপটি বাসযোগ্য এলাকায় নয়টি ছোট গ্রহও চিহ্নিত করেছে। বাসযোগ্য এলাকা বলতে কোনো তারাকার চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহদের অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে। সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী ঠিক এমনই একটি অবস্থানে রয়েছে। সদ্য আবিষ্কৃত এই গ্রহদের কেপলার টেলিস্কোপের শনাক্ত করা নতুন গ্রহদের একটি তালিকায় রাখা হয়েছে। ওই তালিকায় কেপলার আবিষ্কৃত ১,২৮৪টি নতুন গ্রহ আছে। নতুন গ্রহ আবিষ্কারের এটি সবচেয়ে বড় একক ঘোষণা বলে জানিয়েছে নাসা। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা এক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন এই আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টার থেকে কেপলার মিশনের বিজ্ঞানী ড. নাটালি বাটালহা জানিয়েছেন, হিসাব করে দেখা গেছে আমাদের ছায়াপথে (মিল্কিওয়ে) এক হাজার কোটিরও বেশি বাসযোগ্য গ্রহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-এ নাসার প্রধান কার্যালয়ের প্রধান বিজ্ঞানী এলেন স্টোফেন সংস্থাটির অফিসিয়াল সাইটে বলেন, এই ঘোষণা কেপলার থেকে পাওয়া গ্রহের সংখ্যা আগের গ্রহের সংখ্যার দিগুণেরও বেশি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এটি আমাদের আশা যোগাছে যে, আমাদের গ্রহের মতো কোনো নক্ষত্রের চারপাশে কোথাও না কোথাও আমরা আরেকটি পৃথিবী আবিষ্কার করতে পারব। নাসার সাইটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের গ্রহ অনুসন্ধানী তালিকা থেকে এই বিশ্লেষণা করা হয়। যেখানে ৪৩০২টি সম্ভাব্য গ্রহ চিহ্নিত করা হয়েছে। ঐ তালিকা থেকে ১২৮৪টির ক্ষেত্রে গ্রহ নামটি অর্জন করার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশের বেশি। আর ১৩২৭টি সম্ভাব্য গ্রহ অনেকটা আসল গ্রহের মতো দেখতে হলেও তারা ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা অর্জন করে না, এগুলো নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। বাকি ৭০৭টি সম্ভাব্য গ্রহতে অন্যান্য জ্যোতিঃপদার্থবিষয়ক বৈজ্ঞানিক ঘটনা দেখা যায়। এর আগে এই বিশ্লেষণায় ৯৮৪টি সম্ভাব্য গ্রহকে অন্য কৌশলের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
নিউ জার্সিরর প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি-এর সহযোগী গবেষক এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের শীর্ষ লেখক টিমোথি মরটন-কে প্রতিটি সম্ভাব্য গ্রহের গ্রহ হওয়ার শতকরা সম্ভাবনা বের করতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে নাসা। মরটন আরও বলেন, সম্ভাব্য গ্রহগুলোকে টুকরো করা রুটির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যদি কয়েকটি বড় টুকরা মেঝেতে পড়ে যায়, একটি একটি করে তোলা সম্ভব কিন্তু যদি অনেকগুলো ছোট টুকরা একসঙ্গে পড়ে যায় তাহলে একটি ঝাড়– দরকার হবে। পরিসংখ্যানগত এই বিশ্লেষণটি হল ঝাড়–। সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৃথিবীর সমান শতাধিক গ্রহের মধ্যে বাসযোগ্য ছোট নয়টি চিহ্নিত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ