চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন: যদি কোন নাবালক মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া অভিভাবকরা বিয়ে দেয়। সে বিয়ে কি হবে? পরে যদি সাবালক হয়ে মেয়েটি বিয়ে মেনে না নেয়, তখন কি হবে?
উত্তর : বিয়ে হবে। যদি ইসলামী শরিয়ত অনুসরণ করা হয় তাহলে নাবালিকাকেও তার সম্মতি বা কবুল বলা ছাড়াই বৈধ অভিভাবক বিয়ে দিতে পারেন। এ বিয়ে মেয়েটি সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কাজী বা বিচার কর্তৃপক্ষকে বলতে পারে। যদি না বলে অল্প সময়ও সংসার চালায় তাহলে আর নারাজি দেওয়ার অধিকার তার থাকে না। এখানে নাবালিকা বলতে আমরা কি বুঝবো? ইসলামী নীতিতে নাবালিকা অর্থ যে মেয়ের নারীত্ব শুরু হয়নি। বয়স তার যাই হোক। অন্যান্য আইনে পশ্চিমা অনেক দেশে ১৩ থেকে ১৮। আমাদের দেশে কমপক্ষে ১৮। এসব নিয়মের নাবালিকাকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিলে বিয়েই হবে না। কারণ, তারা সম্ভবত ইসলামী নীতিতে সাবালিকা।
প্রশ্ন: (ক) দুধভাই ওয়ারিশের কোনো ভাগ পাবে কি? (খ) তারাবীহ পড়িয়ে, কোরআন খতম করে হাদিয়া গ্রহন করা জায়েজ আছে নাকি? (গ) মসজিদে দেরিতে এসে কাতার ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া ঠিক কিনা? (ঘ) নামাযের শেষ বৈঠকে দরূদ, দুআয়ে মাছুরা না পড়লে গোনাহ হবে নাকি?
উত্তর : (ক) দুধ ভাই বোন কিছুই পাবে না। (খ) শর্ত ছাড়া, হাত পাতা ছাড়া, পাওয়ার আশা ছাড়া প্রাপ্ত সব টাকা-পয়সা, খাদ্য, জামা-কাপড়, ঈদের উপহার, হাদিয়া ইত্যাদি তারাবীহ পড়ানো সম্মানিত হাফেজ সাহেব নিতে পারেন। (গ) কাতার পূরণের জন্য অন্যকে কষ্ট না দিয়ে যাওয়া যায়। তবে নিজেকে বড় মনে করে দম্ভ নিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। (ঘ) গোনাহ হবে না, কারণ এসব ফরজ ওয়াজিব নয়। তবে নামাজ অপূর্ণাঙ্গ ও অসুন্দর হবে। -আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।