Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপার সম্ভাবনা থাকলেও নেই উন্নত চারা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের উদ্যোগ

দক্ষিণাঞ্চলে আম আবাদ

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আম উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকলেও উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে প্রসার ঘটছে না। চলতি বছর পৌষের শেষভাগ থেকে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে আমের মুকুলে মুকুলে ঢেকে গেছে গাছ। তবে ফাল্গুনের শুরু থেকে অসময়ের ঘন কুয়াশায় আমসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের মুকুল ঝরে যেতেও শুরু করেছে। এ অঞ্চলের চাষিরা বিজ্ঞানভিত্তিক আমের আবাদে এখনো পারদর্শী নয়। ফলে বেশীরভাগ মুকুল ঝরে যা অবশিষ্ট থাকে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চাষিদের।
জানা গেছে, পটুয়াখালী ও বরিশালের কয়েকটি এলাকার উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সংগ্রহ সীমিত আকারে বাণিজ্যিকভাবে আম উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট- ‘বারি’ গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে। ইতোমধ্যে উন্নতজাতের প্রায় ১৫টি আমের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। তার মধ্যে বারিআম-১ বা মহানন্দা, বারি আম-২, বারি আম-৩ বা আম্রপলি, বারি আম-৪ বা হাইব্রিড আম ছাড়াও বারি আম-৫, বারি আম-৬, বারি আম ৭, বারি আম-৮ এবং কাঁচা মিঠা বারি আম-৯ উল্লেখযোগ্য। বারি উদ্ভাবিত এসব আমের হেক্টর প্রতি ফলন ১৫ থেকে ২৫ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বারি’র মতে, দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ১০লাখ টনের কাছাকাছি আম উৎপাদিত হচ্ছে। ইতোমেধ্যে সাতক্ষীরা ও রাজশাহী কয়েকটি এলাকার সুমিষ্ট আম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেরও রপ্তানি হচ্ছে। এমনকি বারি উদ্ভাবিত বারমাসি ‘বারি আম-১১’ আবাদ করে বরিশালের উজিরপুরের বেশ কয়েকটি পরিবার স্বাবলম্বি হতেও শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের মতে, এক সময়ে শুধুমাত্র দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমের বাণিজ্যিক আবাদ হলেও এখন তা ক্রমশ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি পার্বত্য জেলাগুলোতেও আমের আবাদ ক্রমশ বাড়ছে।
তবে এখনো বারি উদ্ভাবিত আমের জাতগুলো দক্ষিণাঞ্চলের আমচাষিদের কাছে সহজলভ্য করার উদ্যোগ সীমিত। বরিশালের রহমতপুরে এবং পটুয়াখালী শহর সংলগ্ন নদীর অপর পাড়ে দুটি হর্টিকালচার সেন্টার থেকে বারি উদ্ভাবিত কিছু আমের চারা বিক্রি হয়ে থাকে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষিবিদের মতে, দক্ষিণাঞ্চলে আমসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল আবাদ ও উৎপাদনের অপার সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে বারি উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ফলদ গাছের চারা এবং এর আবাদ ও উৎপাদন প্রযুক্তি কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার বিকল্প নেই। সারা দেশেই এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলে আগামী দশ বছরে আমের উৎপাদন দ্বিগুন করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আম

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ