মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। এর মধ্যে চিরবৈরী দেশ দুটির মধ্যে দুটি যুদ্ধ ও অসংখ্য বিচ্ছিন্ন লড়াই হয়েছে। কিন্তু স্থলবাহিনী কিংবা বিমানবাহিনীর কাশ্মীরের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের ঘটনা একেবারেই বিরল। যদিও এ সীমান্তটিতে ব্যাপক সেনা মোতায়েন রয়েছে। হিমালয় অঞ্চল ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরশত্রুর মধ্যে কয়েকটি বড় লড়াই হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৪৭ সালে দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
কাশ্মীরের স্থানীয় শাসক মহারাজা ভারতের নিয়ন্ত্রণ মেনে নিলে পাকিস্তান থেকে উপজাতীয় যোদ্ধারা হামলা চালায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান এক সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিল। পরে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালে ভারতীয় বাহিনী সিয়াচেন হিমবাহ দখল করে নেয়। কারাকোরাম পার্বত্যাঞ্চলের এই বিচ্ছিন্ন মানববসতিহীন অঞ্চলটির দাবিদার পাকিস্তানও। ২০০৩ সালে অস্ত্রবিরতির আগে এই অঞ্চলটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহু লড়াই হয়েছে। ১৯৯৯ সালে স্বাধীনতাকামীরা কাশ্মীরের কারগিল পাহাড়ের পাদদেশে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একটি ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এসময় ১০ সপ্তাহব্যাপী লড়াইয়ে দু’পক্ষের হাজারখানেক প্রাণহানি ঘটে। ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের কাশ্মীরে কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। এর সপ্তাহ দুয়েক আগে সীমান্তে ভারতীয় সেনা ফাঁড়িতে স্বাধীনতকামীদের হামলায় ১৯ জওয়ান নিহত হন। এর পরে নভেম্বরে পাকিস্তান সীমান্তে একটি ভারতীয় সামরিকঘাঁটিতে পুলিশের ছদ্মবেশে হামলা চালালের ৯ সেনা নিহত হন। ২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতীয় একটি আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন। পাকিস্তানভিত্তিক জয়েশে মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। পরে গতকাল মঙ্গলবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অংশে বিমান হামলায় চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। যাতে ভারত ব্যাপক হতাহতের দাবি করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। পাকিস্তান হামলাস্থলের যে ছবি প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায় ঘন গাছে ঢাকা পাহাড়ী ঢালে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ছবিতে যতদূর দেখা যায় তাতে এলাকাটিতে কোন মানববসতি আছে বলে মনে হয় না। সূত্র : এএফপি ও ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।