Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১৫শ’ মণ মেয়াদোত্তীর্ণ মাছ-গোশত জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজার এলাকায় সেফ অ্যান্ড ফ্রেশ ফুড নামে একটি হিমাগারে অভিযান চালিয়ে পঁচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ১৫শ’ মণ গোশত ও মাছ জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে র‌্যাব ও প্রাণি সম্পদ অধিদফতর যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন ধরণের ১১শ’ মণ গোশত ও ৪শ’ মণ মাছ জব্দ করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।

এদিকে, গত সোমবার তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো এলাকার শিকাজু ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়ার্কশপ নামে একটি হিমাগারে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৮শ’ মণ গোশত এবং ১৩শ’ মণ খেজুর ও কিসমিস জব্দসহ ৩২ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৮ জনকে কারাদÐ দেয়।

র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, অভিযানে হিমাগারটি থেকে ১৯০ মণ মহিষের মাংস, ৮শ’ মণ ভেড়ার মাংস, ৫ হাজার কেজি চিকেন নাগেট, ১শ’ মণ ভেড়ার পাঁজরের হাড়, ২শ’ মণ গরুর মাংস। গোশতের কার্টনে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে এসব গোশত প্যাকেটজাত করা হয়েছে। যার মেয়াদ ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের সংরক্ষিত কোরাল মাছের মেয়াদও দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, হিমাগারের ভেতর প্রচুর পরিমাণে পঁচা মাছ ও গোশত রয়েছে। গত সোমবারও ওই হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা কিছু মাংস ও মাছ সরানোর চেষ্টা করেছিল। তবে সরানোর আগেই আমরা ধরে ফেলেছি। মেয়াদোত্তীর্ণ মালামালগুলো ভারতীয় কোম্পানি ‘রুস্তম ফুড’ নামে এর। ‘ফুড চেইন এশিয়া লিমিটেড’ নামে একটি আমদানিকারক কোম্পানি এসব পণ্য সরবরাহ করে থাকে। এসব পঁচা মাছ ও গোশত রাজধানীর বিভিন্ন খাবারের দোকান ও সুপার শপে সরবরাহ করা হতো।

অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, ডা. ফজলে রাব্বি মÐল, ডা. রিগ্যান মোল্লা, ফারহানা রিসা, ঢাকা জেলা মৎস্য অফিসার সৈয়দ মো. আলমগীরসহ একাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় নকল ও ভেজাল প্রসাধনী কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-২ এর এএসপি রবিউল ইসলাম বলেন, মহানগর প্রজেক্টের ৩ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর বাড়িতে থাকা কারখানাটিতে ভারতীয় পতঞ্জলি ও কুমারিকাসহ বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য শুধুমাত্র ফ্লেবার কেমিক্যাল ব্যবহার করে নকলভাবে তৈরি করা হতো। এছাড়া কোন ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই একই কারখানায় সেভিং ক্রিম তৈরি ও গ্যাস লাইটারে গ্যাস ভর্তি করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা হতো। কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল ও মেশিনারিজ জব্দ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ