মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে ভিয়েতনাম পৌঁছেছেন। আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। দুনেতার মধ্যে আজ বুধবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে দুই নেতার সাক্ষাতের পর এটি হবে তাদের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক। কিমের সবুজ ও হলুদ রঙের ট্রেনটি মঙ্গলবার সকালে ভিয়েতনামের ডং ডং স্টেশনে পৌঁছেছে এবং সেখান থেকে কিম জং-উন গাড়িতে করে রাজধানী হ্যানয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ট্রেন স্টেশনে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানায় ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে উত্তর কোরিয়ার নেতা ট্রেন থেকে নেমে গাড়িতে চড়েন। এরপর কিছুক্ষণের জন্য তিনি তার লিমুজিন গাড়ি থামিয়ে জানালা দিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। এ সময় কালো পোশাক পরিহিত কিমের বিশেষ দেহরক্ষী বাহিনী তার গাড়ির সঙ্গে কিছুক্ষণ দৌড়ে যান। উত্তর কোরিয়ার নেতার বোন কিম ইয়ো-জং এবং তার অন্যতম প্রধান আলোচক সাবেক জেনারেল কিম ইয়ং-চোল ভিয়েতনাম সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন। খবরে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপন ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম স্থগিত করার বিষয়ে আলোচনা করতে আজ বুধ ও কাল বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বসছেন এই দুই নেতা। এদিকে তাকিয়ে আছে সমগ্র বিশ্ব। তবে, পরিস্থিতির উন্নয়নের আশা দেখছেন না খুব বেশি বিশ্লেষক। প্রায় ৮ মাস আগে সিঙ্গাপুরে এই দুই নেতা ঐতিহাসিক সাক্ষাতে মিলিত হয়েছিলেন। সেটিই ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম বৈঠক। সেখানে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প সেই সম্মেলনকে সফল হিসেবে আখ্যায়িত করলেও বাস্তবে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করায় দেশটি তার পরমাণু কর্মসূচি বাতিলেরও কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনা এগিয়ে নিতে পুনরায় হ্যানয়ে বসছেন এই দুই নেতা। ভিয়েতনামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পূর্বে ওয়াশিংটনে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কিম জং উনের সঙ্গে আমার অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নতুন করে কোনো পরমাণু বোমা ও বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় নি বলে তিনি উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন। তিনি এ জন্য খুশি বলেও জানান। তবে, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে চাপ দেবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমার কোনো তাড়া নেই। আর আমি কাউকে চাপও দিতে চাই না। আমি শুধু চাই পরমাণু বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ থাকুক। যতদিন বন্ধ থাকবে আমরা খুশি। এ ছাড়াও উত্তর কোরিয়া ব্যাপক সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তার মতে উত্তর কোরিয়া যদি সত্যিই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয় তাহলে দেশটি পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। হোয়াইট হাউসে গভর্নরদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, আমি চেয়ারম্যান কিম জং উনকে বলেছি যে আপনি চাইলেই আপনার দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক স্পন্দনশীল হয়ে উঠতে পারে। বিবিসি, রয়টার্স, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।