নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লেভান্তে সমর্থকরা নিজেদের ‘দুর্ভাগা’ ভাবতেই পারেন। দুইবার তাদের গোলবঞ্চিত করেছে পোস্ট। রিয়াল মাদ্রিদের ডি বক্সে তাদের অধিকাংশ আক্রমণই থেমেছে রেফারির বিতর্কিত বাঁশিতে। ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেলেও তাদের যে ২-১ ব্যবধানে হারতে হয়েছে সেই গোল দুটিও রিয়াল পেয়েছে ‘বিতর্কিত’ ভারের সহায়তায় পাওয়া দুই পেনাল্টি থেকে!
অথচ এই ভার (ভিডিও অ্যাসিসট্যান্স রেফারি) লেভান্তের হয়েও কথা বলতে পারত। দুটি পেনাল্টি পেতে পারত তারাও। কিন্তু ডি বক্সে জোসে লুইস মোরালেসকে করা ডানি কারবাহালের ফাউল ও রাফায়েল ভারানের হ্যান্ডবলে লেভান্তের করা আবেদন সরাসরি নাকচ করে দেন রেফারি ইগনাসিও ইগলেসিয়াস ভিলানুয়েভা; ভারের প্রয়োজনই মনে করেননি স্প্যানিশ রেফারি। অন্যদিকে ভারের সহায়তা নিয়েও দুইবারই রিয়ালের পক্ষে ‘বিতর্কিত’ পেনাল্টি দেন ভিলানুয়েভা।
লুকা মদরিচের জোরালো ক্রস থেকে নিজের মুখ বাঁচাতে হাত দিয়ে বল ঠেকান এনিস বার্ধি। সেটা যে শ্রেফ মুখ বাঁচাতেই সেটা বার বার দেখানো টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট ছিল। অথচ সেই রিপ্লে নিজে দেখেই পেনাল্টি দেন রেফারি। যা থেকে সফরকারীদের এগিয়ে নেন করিম বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধে রজার মার্তির গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। কিন্তু ৭৪ মিনিটে আবার রিয়াল পেনাল্টি পায় কাসিমিরোর ডাইভ নাটকে। রিপ্লেতে দেখা যায়, চিক ডাওকুরের লাথি কাসিমিরোর পা স্পর্শ করেনি। অথচ ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এমন ভান করেন যেন তার পা ভেঙেই গেছে। রিপ্লেতে সেই ডাইভ দেখেও এবারও পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যা থেকে দলকে এগিয়ে নেন চার মিনিট আগে বেনজেমার বদলি নামা গ্যারেথ বেল।
‘বিতর্কিত’ হলেও একদিক থেকে এই জয় রিয়ালের জন্য স্বস্তির। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে জিরোনার কাছে হেরেছিল সান্তিয়াগো সোলারির দল। এই জয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ভ্যবধান কমিয়ে নামানো গেছে নয় পয়েন্টে। সামনে সোলারির সামনে অপেক্ষা করছে কঠিনতম দুই পরীক্ষা। তিন দিনের ব্যবধানে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে দুটি ক্ল্যাসিকো ম্যাচ। প্রথমটি বাংলাদেশ সময় আসছে বুধবার রাতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে। পরেরটিও সান্তিয়াগো বার্নাবুয়ে, শনিবার রাতে লিগ ম্যাচে।
তবে একটা ধাক্কা খেতেই হয়েছে সোলারিকে। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে এদিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নাচো। স্বাভাবীক নিয়মেই তাই এল ক্ল্যাসিকো ম্যাচে তাকে পাবেন না সোলারি। এর দুই মিনিট পর রেফারির সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করায় বেঞ্চে বসে হলুদ কার্ড দেখেন রুবের রোচিনা। প্রথম ৬০ মিনিট মাঠে থাকার সময় একটি হরুদ কার্ড লেখা হয়েছিল তার নামে। বেঞ্চের কার্ডটি তাই লালে রুপান্তরিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।