গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুলনা ব্যুরো : খুলনা মহানগরীর খালিশপুর ও হরিণটানা থানা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া দু’জনের খোঁজ গত চার দিনেও মেলেনি। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জরা। এদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, খালিশপুরের বয়রা সিএসবি গোডাউনের নিরাপত্তা কর্মী মাকসুদুর রহমানের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৮) এবং হরিণটানার মোস্ত’র মোড় এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মাদরাসার শিক্ষক মো. আব্দুলাহ (২৫) কে। ৪ দিন আগে পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় যথাক্রমে খালিশপুর এবং হরিণটানা থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
খালিশপুর থানার ওসি আমীর তৈমুর ইলী বলেন, নিরাপত্তা কর্মী মাকসুদুর রহমানের সিএসবি গোডাউনে বাসায় গিয়ে ৮/১০ জন নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দেয়। এ সময় তার ছেলে ইলেক্ট্রিশিয়ান মনিরুল ইসলামকে আটক করে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন তার পিতা। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।
নিখোঁজ মাকসুদুর রহমান জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৮ থেকে ১০ জন লোক মনিরুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। কি অভিযোগে তারা মনিরুলকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তা জানতে চাইলেও তারা কোন সদুত্তর দেননি। ডিবি পরিচয়দানকারীদের দু’জনের হাতে ওয়্যারলেস ও তাদের কাছে পিস্তল ছিল বলে জানান মাকসুদুর রহমান। হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, নগরীর মোস্ত’র মোড় এলাকায় শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে তার ছেলে মাদরাসার শিক্ষক আব্দুলাহকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। এখনো কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, ডিবি পরিচয়ে গত বৃহস্পতিবার কাউকে তুলে আনার হয়নি। ডিবি পুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।