মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ শ্রীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কাশ্মীরে এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে যার ফলে যারা দ্বিজাতিতত্তে¡ বিশ্বাসী ছিল না তারাও এখন ওই সিদ্ধান্তটি ঠিক না ভুল ছিল, তা নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা কাশ্মীরকে প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দিচ্ছি। লওয়ামায় আধা সামরিক সেনাবহরে আত্মঘাতী হামলার প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। ওমরের এই মন্তব্য ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত¡ ঘোষণা করেছিলেন উপমহাদেশের মুসলিমদের জন্য পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর ওই পাকিস্তানের সাথে যোগ না দিয়ে ভারতের সাথে যুক্ত হয়। কাশ্মীরের অনেকেই দ্বিজাতি তত্তে¡র বিরোধিতা করার জন্য ওমারের দাদা শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে এখনো অভিশাপ দিয়ে থাকে। তারা দাবি করেন, শেখ আবদুল্লাহর কারণেই কাশ্মীর হয়েছে ভারতের অংশবিশেষ। দাদার নীতি অনুসরণ করার জন্য ভারতে প্রশংসিত হয়ে থাকেন ওমর আবদুল্লাহ। তার বাবা ফারুক আবদুল্লাহও একই নীতি অনুসরণ করতেন, তিনিও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পুলওয়ামার জের ধরে সমগ্র ভারতে বিশেষ করে কাশ্মীরী ছাত্রদের বিরুদ্ধে হামলার তীব্র সমালোচনা করেন ওমর আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের ভুল কী? জম্মু ও কাশ্মীর একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য হওয়াটাই কি আমাদের ভুল? এজন্য আমাদের বারবার শাস্তি পেতে হবে? আমাদের সবসময় সন্দেহ করা হবে? তিনি বলেন, দেরাদুন, পশ্চিমবঙ্গ বা রাজস্তান, সব স্থান থেকে আমরা কাশ্মীরিদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাচ্ছি। আমাদের ছাত্ররা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। রাজনীতি নিয়ে তাদের করার কিছুই নেই। তারা শিক্ষা গ্রহণ করে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে চায়। তাদেরকে এখন টার্গেট করা হচ্ছে, তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি পরিস্থিতি থেকে ফায়দা লোটার জন্য বিজেপিকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন পুলওয়ামার মতো ছত্তিশগড়েও সিআরপিএফ সদস্যরা নিহত হয়েছে। কিন্তু কেউ সেজন্য ছত্তিশগড়কে বয়কট করতে বলছে না, সেখানকার লোকজনের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে না। তিনি কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন। এসব ঘটনার পর প্রধান বিরোধী দলের সহানুভুতি ও নৈতিক সমর্থন পাবেন বলে তিনি আশা করেছিলেন, কিন্তু তা পাননি। ইন্টারনেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।