পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন ও আশপাশের ভবনগুলো এখন শুধুই ধ্বংসাবশেষ। ভস্মীভূত ভবন ওয়াহেদ ম্যাশনের আন্ডারগ্রাউন্ডে বিশাল গোডাউন অক্ষত অবস্থায় থেকে যাওয়ায় বড় ধরনের বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পেয়েছে পুরো এলাকা। গতকাল ভেতরে ঢুকে বোঝা গেল, জায়গাটি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য হলেও গোডাউনটির ভেতরে চারপাশে সারিবদ্ধভাবে সাজানো শত শত কেমিক্যালের ড্রাম। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রঙ ও পাউডারের হাজার হাজার বস্তা। এ ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত ৮১ জনের মধ্যে ৪৫ জনের লাশ গতকাল পর্যন্ত পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং বাকি লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ৯ জনকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করছে সিআইডি। তিন কারণে চুড়িহাট্টায় আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন বিস্ফোরক পরিদফতরের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চকবাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছিলেন, পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাÐের ঘটনায় রাসায়নিক গুদামের কোনো সম্পর্ক নেই। ওই ভবনে কোনো রাসায়নিক গুদামও নেই।
গত ২০ ফেব্রæয়ারি বুধবার রাতে সেখানে কোনো ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি। ভয়াবহ আগুনের কারণেই তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান। অন্য দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেছেন, ভবনের ভেতরে অনেক কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ ছিল। সেগুলোর কারণেই আগুন এত দ্রæত ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল চকবাজার চুড়িহাট্টা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অগ্নিকাÐের ঘটনায় পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। দ্বিতীয় দিনের মতো এলাকার সব দোকান বন্ধ রয়েছে। ভাড়াটিয়াদের বেশির ভাগ গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। স্থায়ী বাসিন্দারা রয়েছেন মহা সঙ্কটে। দুই দিন ধরে চুড়িহাট্টা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা। এ কারণে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন তারা। রান্না করতে না পেরে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে চার দিকের রাস্তা খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিকাÐে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ‘ওয়াহেদ ম্যানশন’ ও তার আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং ধ্বংসাবশেষ দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জামাচ্ছে। যদিও ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুড়ে যাওয়া যানবাহন ও ধসে পড়া ভবনের অংশ রাস্তা থেকে সরিয়ে নেয়া হলেও বেশ কয়েকটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি এখনো সরানো হয়নি। এ দিকে ভবনটির নিচতলায় পুড়ে যাওয়া তিনটি দোকানের ভেতরে ঢুকে ধ্বংসস্ত‚পের মধ্যেও কেমিক্যালের সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি দোকানে পাওয়া গেছে দানা প্লাস্টিক, যা কেমিক্যাল মিশ্রিত এবং প্লাস্টিকের সরঞ্জাম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। মিলেছে কসমেটিকস তৈরির সরঞ্জামও। গতকাল ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার সকালে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেছেন, ভবনের ভেতরে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিল। এটা একটা দাহ্য পদার্থ। এ ছাড়া অন্যান্য কেমিক্যাল ছিল। প্রতিটি জিনিসই আগুন দ্রæত ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে।
ডিএসসিসির তদন্ত কমিটির আহŸায়ক ও সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পরিদর্শনে এসেছি। আগুনে পাঁচটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভবন প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে হয়েছে। আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের অনুমতি নেই। যেকোনো মূল্যে সবাই মিলে এসব এলাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাজাহান শিকদার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গোডাউনে যেভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল রাখা ছিল, আগুন যদি কোনোভাবে গোডাউনে চলে যেত তাহলে ভবনটি বিস্ফোরিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ত। গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ ধরনের কেমিক্যাল রাখা অপরাধ। আবাসিক এলাকায় এই ধরনের কেমিক্যাল রাখা উচিত নয়। অথচ এখানে দুই পাশের পার্কিংয়ের জায়গায় বোঝাই করে এসব কেমিক্যাল গুদামজাত করে রাখা হয়েছিল। তাই আগুন নেভানোর কাজ করার সময় আমরা গ্রাউন্ডে তিনটি ইউনিট দিয়ে পানি দিয়েছি, যাতে আগুন গ্রাউন্ড ফ্লোরে না যায়।
চুড়িহাট্টার বাসিন্দা মাহবুবুল আলম ও হানিফ মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আগুনের ঘটনার পর থেকেই এলাকায় কোথাও গ্যাস নেই। বিদ্যুৎ এবং পানিরও একই অবস্থা। ভাড়াটিয়ার বেশির ভাগই অন্যত্র এবং গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। আমরা যারা স্থায়ী বাসিন্দা, তারা আছি বড় বিপদে। কবে নাগাদ এ সমস্যা সমাধান হবে তা জানি না।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনে পারফিউমের গোডাউন ছিল। এক ব্যবসায়ী কিছু দিন আগেই ২০ কোটি টাকার চালান এনে গোডাউনে জমা করেছিলেন। এলাকার সবাই এ তথ্য জানে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি
চকবাজারের ঘটনায় ডিপিডিসি’র পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে কমিটি।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, চুড়িহাট্টা মোড়ের আগুনের ঘটনায় কোনো ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি। তবে বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি, চার স্পেন (এক খুঁটি থেকে অন্য খুঁটি পর্যন্ত এক স্পেন) এলটি তার (.৪১৫ কেভি লো ভোল্টেজ তার) এবং ৫ স্পেন এরিয়াল বান্ডেল ক্যাবল নষ্ট হয়েছে। এগুলো বদলাতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, যে ভবনটিতে প্রথম আগুন লাগে সেই ওয়াহেদ ম্যানশন চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত। তার আশপাশে কোনো ট্রান্সফরমার ছিল না। পাশের হায়দারবক্স লেনে একটি এবং কাটারা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে একটি ট্রান্সফরমার ছিল, যা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী হরিন্দ্র হালদার বলেন, আগুন লাগার পর চকবাজারের ১২টি ট্রান্সফরমার বন্ধ করে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চুড়িহাট্টা ছাড়া অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। সিটি করপোরেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করলে যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব, সেখানে সরবরাহ শুরু করা হবে। আর যেখানে তার ও খুঁটি বদলাতে হবে সেখানে বদলানোর কাজ শুরু করা হবে।
ভস্মীভূত ভবনে লাল সাইনবোর্ড
চুড়িহাট্টার আগুনে পুড়ে যাওয়া ও আংশিক পোড়া পাঁচটি ভবনে লাল-কালো কালিতে লেখা সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে। লাল ফিতা দিয়ে কর্ডন করা হয়েছে ভবনগুলো। শুক্রবার ভোরে সাইনবোর্ডগুলো টাঙ্গান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। সাইনবোর্ডে লেখা, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। ভবনটি ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’ যেসব ভবনে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে সেগুলো হলোÑ চুড়িহাট্টার নন্দকুমার দত্তের ১৮, ৬৩/২, ৬৩/৩, ৬৪, ৬৫ নং ভবন।
কাজ করছে একাধিক তদন্ত কমিটি
অগ্নিকাÐের কারণ উদঘাটনসহ দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহŸায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দোষীদের চিহ্নিত করতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। অগ্নিকাÐের কারণ অনুসন্ধান, প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং অগ্নিদুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করেছে।
সারা দেশে দোয়া ও গায়েবানা জানাজা
চুড়িহাট্টায় আগুনের ঘটনায় নিহতদের জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশে দোয়া ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবানা জানাজা পরিচালনা করেন মাওলানা আবদুল হালিম সিরাজী। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ আহতদের দ্রæত আরোগ্য লাভের প্রার্থনা করা হয় মোনাজাতে।
সম্ভাব্য তিন কারণে অগ্নিকাÐ
তিন কারণে চুড়িহাট্টায় আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে অনেক ক্লু পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনটি কারণে আগুন লাগার সম্ভবনা রয়েছে। কারণগুলো হচ্ছেÑ ট্রান্সফরমার, গ্যাস সিলিন্ডার অথবা কেমিক্যাল বিস্ফোরণ। এ দিকে, আগুন লাগার ঘটনায় বিস্ফোরক পরিদফতর থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলমকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, আমরা কয়েকটি গাড়ি চেক করেছি। অনেকেই দুর্ঘটনাস্থলে থাকা যেই পিকআপটির সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাতের কথা বলেছিল; কিন্তু সেই পিকআপের সিলিন্ডারটি অক্ষত অবস্থায় আছে। এই এলাকায় বেশ কিছু কেমিক্যালের দোকান রয়েছে। তা ছাড়া, ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচে কিছু প্লাস্টিকের দানার দোকান ছিল। এ কারণে আগুন দ্রæত ছড়িয়ে পড়েছে।
ওয়াহেদ ম্যানশনে কেমিক্যাল ব্যবসার অনুমতি ছিল না
বাংলাদেশ বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, নিমতলী অগ্নিকাÐের পর থেকে ওই এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসার জন্য একটি লাইসেন্সও দেয়া হয়নি। ওই এলাকায় বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্সধারী কোনো গুদামও নেই। যে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল, সেটিতেও রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ রাখার অনুমতি ছিল না।
বিস্ফোরক পরিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, নিমতলীর ঘটনার পর এ ধরনের দাহ্য পদার্থের দোকান বা গোডাউন তখন সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পাশাপাশি ২৯টি কেমিক্যালের কোনো গুদামে না রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এসব উচ্চমাত্রার দাহ্য পদার্থ ব্যবসায়ীরা যাতে না রাখেন, সেজন্য গত সপ্তাহে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে অভিযান চালানো হয়েছিল। এ সময় উচ্চমাত্রার কেমিক্যাল রাখার প্রমাণ পাওয়ার পর ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। লাইসেন্স স্থগিত করেছে সিটি কর্পোরেশন। তারপরও ব্যবসায়ীরা নিয়ম মানছেন না।
ধুয়েমুছে সাফ
চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাস্তা ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কারের কাজ করছেন। সবকিছু পরিষ্কার করার কাজ দেখে মনে হচ্ছে যেন বুধবার রাতের ভয়াবহতা আর শোক দ্রæত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে পানি ছিটিয়ে ও ঝাড়– দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। সিটি করপোরেশনের বড় একটি ট্রাকে পানি এনে রাস্তা ও আশপাশে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে নন্দকুমার দত্ত সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের নিচতলা থেকে পুড়ে যাওয়া একটি শিশুর হাতের খÐিতাংশ খুঁজে পান একব্যক্তি। এরপর সেদিকে ঘিরে ধরে লোকজন। গোলচত্বরের একপাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের অবকাঠামো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।