মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নিলে পাকিস্তানকে কোনো সামরিক সহায়তা দেয়া হবে না বলে মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওবামা প্রশাসনকে তাদের এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এলিজাবেথ ট্রুডো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মার্কিন প্রশাসন চায় পাকিস্তান হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নিক। তিনি বলেন, কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ না নিলে পাকিস্তানকে তারা কোনরকম সামরিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত নয়।
ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানি নেটওয়ার্কের ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গী পরিষ্কার করে দিয়েছে এবং ইসলামাবাদও জানে এখন তাদের কি করতে হবে। পাকিস্তানের সংসদে বিবৃতিটি নিয়ে আলোচনা হয়। দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ বলেন, গত তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্যানেল হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি সামরিক সহায়তা আটকে দেয়। এবং গত মাসের শেষের দিকে মার্কিন সিনেটররা পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ বিক্রিও আটকে দেন।
ট্রুডো আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী ও মিত্রদের নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে প্রশাসন কংগ্রেসের সঙ্গে একত্রে কাজ করকে অঙ্গিকারবদ্ধ। এখন পাকিস্তানের এ বিষয়টিতে মার্কিন অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারে শুধুমাত্র কংগ্রেস।
এ ব্যাপারে ওবামা প্রশাসন ও কংগ্রেস একই অবস্থানে কি নাÑ জানতে চাইলে ট্রুডো বলেন, আমরা কংগ্রেসের সাথে একত্রে কাজ করছি। এটা পরিষ্কার যে, প্রশাসন এককভাবে এই তহবিল ছাড় করবে না।
পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে এ বছরের গোড়ার দিক থেকেই। তালিবানকে আফগান পুনরেকত্রীকরণের আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পরই সম্পর্কের এই অবনতি শুরু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালিবানকে শান্তি আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তান যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালায়নি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তালিবান শুধু তখনই শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে, যখন তারা মনে করবে যুদ্ধে আর তারা জিততে পারবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পাকিস্তান তার সীমান্তে লুকিয়ে থাকা তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান চালিয়ে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।