বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এস.কে.এম. নুর হোসেন পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : যানজট, ধুলাবালি, শব্দ দূষণ এই তিন যন্ত্রণা নিয়ে দুর্ভোগের শিকার পটিয়ার পৌরবাসী। মহাসড়কের পাশে পৌর ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে এ তিনটি যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ১৮ মাসের মধ্যে ড্রেন নির্মাণের কাজ শেষ করার সিডিউল থাকলেও আড়াই বছরেও শেষ হয়নি এ কাজ। ধীরগতিতে নির্মাণ কাজ করার কারণে লোকজনের দুর্ভোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে পটিয়া পৌরসভার ছবুর রোড, তালতলা চৌকি, ওয়াপদা রোড, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, মক্কাভিলা এলাকায় রাস্তাঘাটের অবস্থা করুণ। এসব এলাকার দোকানদার ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চালাতে পারছে না। গেল বর্ষা মৌসুমে লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়। আগামী বর্ষায় একই পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে পৌরবাসী।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সাহায্য পুষ্টের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিউনিসিপ্যাল গর্ভন্যান্স এন্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (এমজিএসপি) প্রকল্পের আওতায় পটিয়া পৌরসভায় মহাসড়কের পার্শ্বে মাজার গেইট থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ড্রেন, ফুটপাত, স্ট্রীট লাইট স্থাপনের জন্য সরকার ১১ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নেজাম আলী চৌধুরী (জে.বি) কনষ্ট্রাকশন কাজটির টেন্ডারপ্রাপ্তিসহ কার্যাদেশ পেয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে কাজ শুরু করেন। একই সনে উক্ত প্রকল্পের অধীন পটিয়া থানার মোড় থেকে তালতলা চৌকি ও তালতলা চৌকি থেকে মমতা আবাসিক পর্যন্ত ১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের জন্য আরো ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। একস্থান থেকে কাজ শুরু ও শেষ না করে বিভিন্নস্থানে নালা খনন করে মনগড়া কাজ করার দরুন পৌরসদরের প্রধান গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো কার্যত অচল হয়ে যায়। ফলে সড়কের যানজট ছাড়াও বর্ষার সময় কাদা আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে লোকজনের চলাফেরা কষ্টকর হয়ে উঠে। এর মধ্যে পটিয়া মাজার গেইট থেকে পোষ্ট অফিস মোড় পর্যন্ত ড্রেনের আর.সি.সি ঢালায়ই এর কাজ শেষ হলেও ড্রেনের পাশে মাটি ও বালি জমাট করে রাখার দরুণ সড়কে ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। কাদা কিংবা ধুলাবালি সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে থানার মোড় থেকে পটিয়া কলেজ গেইট পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের কাজ গত ১ বছরেও শেষ করতে পারেনি। সেইখানে নালা খননের মালামাল রাস্তার উপর যত্র-তত্র ফেলে রাখায় যানজট লেগে আছে। গত ৬ মাসে এই নালায় পড়ে গিয়ে শিশুসহ ৫/৬ জন লোক আহত হয়েছে। পটিয়া বাসস্টেশন থেকে পোস্ট অফিস পর্যন্ত যানজটের কারণে কক্সবাজারগামী পর্যটক বাহী যানবাহন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। গাড়িতে থাকা মাইকের আওয়াজে লোকজনের মধ্যে শব্দ দূষণ হয়। সড়ক জুড়ে ধুলাবালি কিংবা কাদায় জনসাধারণ ছাড়াও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পটিয়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, এ ড্রেন নির্মাণ কাজে প্রশাসনিক ভাবে সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে না। পটিয়া থানার পাশে ড্রেনের জায়গা ছেড়ে না দেওয়ায় র্দীঘদিন ধরে কোয়াটার কিলোমিটার কাজ শেষ করা যাচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।