Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া : ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় মসজিদ কুষ্টিয়ার শাহী মসজিদ। এ মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থীর আগমন ঘটে জেলার অজপাড়া গাঁ নিভৃত পল্লী ঝাউদিয়ায়। শত শত দর্শক আর ভ্রমন পিপাসুদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে এ স্থানটি। কিন্ত দর্শকদের জন্য তেমন সুযোগ সুবিধা নেই এখানে। নেই তেমন বিশ্রামের জায়গা। ফলে এ স্থানটি দর্শনীয় হওয়া সত্তে¡ও দর্শকদের জন্য সুযোগ সুবিধা না থাকায় পযটকরা আসলেও থাকতে পারেন না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মসজিদটির জৌলুসও নষ্ট হচ্ছে।

জানাযায়, ইসলাম প্রচারের জন্য অনেক ওলি আউলিয়া এসেছিলেন বাংলাদেশে। ইসলাম প্রচার করতে এতে তারা নিজেদের জানমাল সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছিলেন। ধর্ম প্রচারসহ দ্বীনি কর্মকাÐের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছিলেন মসজিদকে। সেই হিসাবে বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছিলেন মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাহ।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ঝাউদিয়া গ্রাম। এই গ্রামে সম্রাট শাজাহানের আমলে ঐতিহ্যবাহি শাহী মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ থেকে তিনশত বছর আগে সম্রাট শাহজাহান এই মসজিদ নির্মান ব্যয় বহন করেন। সে সময় মসজিদটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেন শাহ্ সুফি আদারী মিয়া চৌধুরী। উপ-মহাদেশ থেকে আসা ধর্ম প্রচারক শাহ্ সুফি আদারী মিয়া চৌধুরী ৮৫ বছরে বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পর ১৯৬৯ সালে হাসান চৌধুরী তৎকালীন সরকারের সাথে একটি রেজিঃ চুক্তিনামা অনুযায়ী মসজিদটি প্রতœততœ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। চুক্তিনামা অনুযায়ী এই মসজিদের মতওয়ালী (তত্বাবধায়ক) হিসেবে থাকবেন হাসান আলী চৌধুরী অথবা তারই বংশধর। বর্তমানে মসজিদ কমিটিতে তারই বংশধর মসজিদটি পরিচালনা করছে। নিপুণ কারুকার্যে নির্মিত মসজিদটি পরিদর্শনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষের ভীড় করেন। বিশেষ করে প্রতি জুমার দিন এখানে লোক ধারণের জায়গা থাকেনা। মসজিদটিকে ঘিরে কিছু কুটির শিল্পও গড়ে উঠেছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসজিদ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ