পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতারণার শিকার খুলনা অঞ্চলের ৬২ জন হজযাত্রীর চলতি বছরও হজে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। হজ এজেন্সী এম জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের (০৯১২) এলিফ্যান্ট রোডস্থ প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে হজযাত্রীদের জমাকৃত ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রতারণার শিকার এসব হজযাত্রী হজের যাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালে খুলনা জেলার নেহালপুর রুপসাস্থ মো. আজাদ শেখের ছেলে মো. ইব্রাহীম শেখের মাধ্যমে ঐ অঞ্চলের ৬২ জন হজযাত্রী এম জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নওরীন সুলতানা (সুমি)-এর এলিফ্যান্ট রোডস্থ প্রিমিয়ার ব্যাংকের একাউন্টে হজে যাওয়ার জন্য ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা দেয়। নওরীন সুলতানা সুমি ও তার স্বামী টিপু সুলতান চূড়ান্ত নিবন্ধন না করায় এসব হজযাত্রী গত বছর হজে যেতে পারেনি। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালের ১১ আগষ্ট নিউমার্কেট থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। ডাইরী নং-৫৫৪।
হজ প্রতিনিধি মো. ইব্রাহীম শেখ প্রতারণার শিকার ৬২ জন হজযাত্রীর জমাকৃত ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার ফেরত এবং এসব হজযাত্রীকে ২০১৯ সালে হজে প্রেরণের জন্য ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর ধর্ম সচিবের কাছে লিখিত আবেদন জানান।
এদিকে, নওরীন সুলতানা সুমি পশ্চিম নাখালপাড়া দেড় কোটি টাকা পাওয়ার দাবীতে ঢাকার সিএম এম আদালতে ইব্রাহীম শেখের বিরুদ্ধে সিআর মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৭০৭/১৮।
ইব্রাহীম শেখ জানান, নওরীন সুলতানা সুমি দেড় কোটি টাকার একটি খালি চেক নিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এছাড়া এম জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ একটি স্ট্যাম্পও ফেরত দিচ্ছে না বলে ইব্রাহীম শেখ উল্লেখ করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো.শিব্বির আহমদ উছমানি গত ৪ ফেব্রুয়ারী এম জামিলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী নওরীন সুলতানাকে ৭ দিনের মধ্যে ৬২ জন হজযাত্রীর জমাকৃত ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা কেন ফেরত দেয়া হচ্ছে না এবং কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তি আরো করা হবে না কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।