নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন ২০১৯ আইসিসি বিশ্বকাপের পর থেকে আর ওয়ানডে ক্রিকেটের জার্সি গায়ে ২২ গজ মাতাতে দেখা যাবে না ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলকে। রোববার ভক্তদের উদ্দেশে এমন বার্তাই দিয়েছেন অভিজ্ঞ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান। আগামী ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ১২তম আসর।
গত বছরের জুলাইয়ে কিংস্টনে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচে দেখা যায় গেইলকে। বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের মাধ্যমে আবার ৫০ ওভারের ম্যাচে দেখা যাবে ৩৯ বছর বয়সী এই হার্ড-হিটিং ওপেনারকে। অবসরের ঘোষনা দিতে গিয়ে ইএসপিএনক্রিকইনফোকে গেইল বলেন, ‘তোমরা একজন অসাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে আছো। আমি বিশ্ব সেরা একজন খেলোয়াড়। অবশ্যই এখনো আমি ‘ইউনিভার্স বস’। এটা কখনই পরিবর্তন হবেনা।’
ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কিংবদন্তী ব্রায়ান লারার রানকে টপকে যেতে গেইলের প্রয়োজন আর ৬৭৭ রান। ক্যারিয়ারে পঞ্চম বিশ্বকাপে খেলতে নেমে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করার ব্যাপারে আশাবাদী। ৩১ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে উইন্ডিজ তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে।
গেইল বলেন, ‘বিশ্বকাপ জিততে পারলে তা হবে রূপকথার গল্পের সমাপ্তির মত। দলের তরুণরাও আমার জন্যই এই বিশ্বকাপ জিততে চায়। তরুণদের পাশাপাশি আমিও এই শিরোপা জয়ে অবদান রাখতে চাই।’
২০১৪ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলার পর মূলত টি-২০ বিশেষজ্ঞ হিসেবে গেইল নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। সম্প্রতি খেলে গেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০তেও। ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও গেইল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন। দুই বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপই মূলত তার শেষ লক্ষ্য বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ সম্পর্কে গেইল বলেন, আমি এখনো ফিট আছি। শারিরীক ভাবে সুস্থ আছি। এর মাঝে কিছু ওজনও কমেছে। অনুশীলনে তরুনদের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করতে ভালই লাগে। এখনো খেলার মানসিকতা আমার মধ্যে আছে। এখনো আমি বিষয়টি উপভোগ করছি।’
ক্যারিয়ারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৮৪টি ওয়ানডে থেকে গেইলের সংগ্রহ ৯৭২৭ রান। ২৩টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি রয়েছে তার নামের পাশে। এ পর্যন্ত ছয়জন খেলোয়াড় ওয়ানডেতে দ্বিশতক হাঁকিয়েছেন, তাদের একজন গেইল। গত বিশ্বকাপের আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরিটি করেন তিনি।
২০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে টপ অর্ডারে প্রতিপক্ষ বোলারদের জন্য সবসময়ই ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন গেইল। ব্যাট হাতে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তার নিজের মধ্যেই একটি ‘ইউনিভার্স বস’ এর ইমেজ গড়ে উঠেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।