নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত পরশু রাতে লা লিগার ম্যাচে রিয়াল ভালাদোলিদকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। সে ম্যাচে কাতালান জায়ান্টদের পাওয়া দুটি পেনাল্টির মধ্যে একটিতে গোল করতে পারলেও, আরেকটি মিস করেছেন মেসি। এ নিয়ে লা লিগায় ৬২টি পেনাল্টি নিয়ে ১২তম পেনাল্টিটি মিস করলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। অর্থাৎ প্রতি ৫ পেনাল্টিতে মেসির মিসের হার একটি করে। মেসির মতো খেলোয়াড়ের জন্য যে রেকর্ড বেশ অবাক করে দেওয়ার মতোই। সব প্রতিযোগিতার কথা হিসাব করলে মেসির অবস্থা আরও খারাপ। ক্যারিয়ারে ৮৬ পেনাল্টির মধ্যে ২০টি মিস করেছেন তিনি। অর্থাৎ প্রতি ৪.৫ পেনাল্টিতে একটা করে মিস আছে তাঁর।
মেসির পেনাল্টি মিসের এই হার প্রভাব ফেলছে তার ক্যারিয়ারেও। ২০১৬ সালের শতবর্ষী কোপা আমেরিকার ফাইনালে মেসি পেনাল্টি মিস না করলে হয়তো সেবার চিলি নয়, শিরোপা জিতত আর্জেন্টিনাই। আবার গত বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে মেসির পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়েছিল আর্জেন্টিনা, ১-১ গোলে ড্র করে। সে ম্যাচটা জিতলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেত মেসিরা, ফলে কষ্টেসৃষ্টে দ্বিতীয় হয়ে নয়, হয়তো গ্রুপ থেকে প্রথম হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারত তারা। তখন দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের সঙ্গে না, বরং সে গ্রুপের রানার্সআপ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ডেনমার্কের সঙ্গে ম্যাচ পড়ত মেসিদের!
গতপরশু রাতে রিয়াল ভায়াদলিলের বিপক্ষেও নড়বড়ে ছিলেন মেসি। ম্যাচে দুটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি। দুটি পেনাল্টিই নিয়েছেন অধিনায়ক। প্রথমটিতে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন। তবে বলে প্রায় হাত ছুঁয়ে ফেলেছিলেন গোলরক্ষক জর্দি মাসিপ। প্রায় বার ঘেঁষে নেওয়া দুর্দান্ত শট আটকাতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয়টি অতটা কোণে রাখতে পারেননি মেসি। আর তা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলে হেড নিয়েও কাজ হয়নি। আর তাতেই নতুন করে গবেষণা শুরু হয়ে গেছে, কেন পেনাল্টি নিতে এতো দুর্বল মেসি। অবশ্য ভায়াদলিদের গোলরক্ষক মাসিপ হয়তো মেসিকে একটু ভালো করে চেনেন বলেই হয়তো প্রায় দুইবারই সফলতা পেয়ে যাচ্ছিলেন। মেসিদের সঙ্গেই বার্সেলোনার যুব একাডেমি লা মাসিয়ার সদস্য তিনি। বার্সেলোনা বি দলে খেলেছেন। খেলেছেন বার্সেলোনার মূল দলেও।
মেসির ক্যারিয়ারে পেনাল্টি থেকে অধিকাংশ শট অবশ্য ডান দিকেই নিয়েছেন। বাঁ পায়ে শট নেন বলেই হয়তো এ প্রবণতা। শেষ চারটি শটও নিয়েছেন ডান দিকে। প্রথম তিনটিতে লক্ষ্যভেদ করতে পারলেও শেষটিতে পারেননি। স্পটকিকে নিজের দুর্বলতা কখনো অস্বীকারও করেননি এ আর্জেন্টাইন। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ফ্রি কিক নেওয়া পেনাল্টি নেওয়ার চেয়ে অনেক সহজ। কারণ এতে আপনার প্রত্যাশার চাপ থাকে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।