Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:১৫ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

কুমিল্লা, কুষ্টিয়া ও মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কুমিল্লা, কুষ্টিয়ায় নিহত ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসায়ী ও মুন্সিগঞ্জে নিহত ব্যক্তি জলদস্যু বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার ও গত শনিবার রাতে এ ঘটনাগুলো ঘটে। পুলিশের ভাষ্য, নিহতদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মাদকদ্রব্যসহ দেশী-বিদেশি বিভিন্ন অস্ত্র। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন :

চান্দিনা (কুমিল্লা) : কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মঙ্গল মিয়া (৫২) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। গতকাল রোববার ভোরে উপজেলার তীরচর এলাকায় কথিত ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মঙ্গল মিয়া চান্দিনা উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। বর্তমানে চান্দিনার সীমান্তবর্তী এলাকা দাউদকান্দি উপজেলাধীন ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বিটতলা গ্রামে বসবাস করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে চান্দিনাসহ বিভিন্ন থানায় ২১টি মামলা রয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ২ রাউন্ড গুলি, ৫শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

আহত দুই পুলিশ সদস্যরা হলেন চান্দিনা থানার এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল হাসানুজ্জামান। তাদেরকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল ফয়সল জানান, ভোররাত ৩টায় মাদক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে চান্দিনার তীরচর গ্রামের জনৈক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বাড়ি সংলগ্ন একটি বাগানে সংঘবদ্ধ হয় মাদক ব্যবসায়ীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মাদক চোরাকারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি ছোঁড়া হয়। পুলিশের ১২ রাউন্ড গুলিবিনিময়ের পর গুলিবিদ্ধ হন মাদক ব্যবসায়ী মঙ্গল মিয়া। আহতাবস্থায় মঙ্গল মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাজমুল মালিথা (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার মিরাজ মালিথার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬শ পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও পুলিশ দাবি করছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, গড়াই নদীর চরে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে এমন সংবাদে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দু’পাশ থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের দাবি এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই রাশেদ, এসআই আতিকুল ইসলাম, এএসআই কামরুজ্জামান ও কনস্টেবল ইমরান হোসেন আহত হয়েছেন। নিহত নাজমুলের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ : মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু ও ৬ মামলার আসামি হুমায়ূন (৩০) নিহত হয়েছেন। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টায় ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হুমায়ূনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় সদর থানা পুলিশ। এ সময় মুন্সিগঞ্জের মহাকালি ইউনিয়নের তালেশ্বর ব্রিজের নিচে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা হুমায়ূন বাহিনীর ডাকাত সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে হুমায়ূনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এতে হুমায়ূন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইান জনান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, রামদা ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য এসআই দেবাশীষ কুন্ডু ও এএসআই মিনহাজ আহত হয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নিহত হুমায়ূন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার কালিরচর গ্রামের মৃত মোহন বেপারির ছেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দুকযুদ্ধে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ