Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চুক্তির আগেই আফগানিস্তান থেকে হাজার খানেক সেনা সরিয়ে নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আফগানিস্তান নিয়ে কোন শান্তিচুক্তিতে পৌছানোর আগেই নতুন কমান্ডারের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর দক্ষতা আরও বাড়ানোর জন্য সেখান থেকে সেনা কমানো হতে পারে। এই সংখ্যা এক হাজারের কিছু বেশি হতে পারে। শুক্রবার এক মার্কিন জেনারেল রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসে কংগ্রেসকে বলেছেন যে, তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা কমিয়ে আনতে চান কারণ শান্তি আলোচনার ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারীরা অগ্রগতি করেছে। তিনি বলেন: “মহান জাতিরা অনন্তকাল ধরে যুদ্ধ করে না”।
ইউএস সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল জোসেফ ভোটেল বলেছেন, আফগানিস্তানে যে ১৪ হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছে, তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তের সাথে শান্তি আলোচনা সম্পর্কিত নয়।
তিনি বলেন, বরং এটা সেনাবাহিনীর জেনারেল স্কট মিলারের প্রচেষ্টার একটা অংশ। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানে অবস্থানরত বাহিনীর দায়িত্ব নেয়ার পর বাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
ওমান সফরের সময় এক সাক্ষাতকারে ভোটেল বলেন, “তিনিই এটা শুরু করেছিলেন এবং এখন এখানে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি দেখছেন কিভাবে আমাদের বাহিনীকে আরও দক্ষ ও উপযুক্ত করা যায়”।
এটা স্পষ্ট নয় যে, এরই মধ্যে সেনা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে কি না। কারণ পেন্টাগন বলেছে, আফগানিস্তানে তাদের ১৪ হাজারের মতো সেনা রয়েছে। কিন্তু তারা সাথে এটাও বলেছে যে, এই সংখ্যাটা কিছু কমবেশি হতে পারে।
মিলার আফগানিস্তানে এক হাজারেরও বেশি সেনা কাটছাট করতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ভোটেল বলেন: “সম্ভবত তিনি সেটা করবেন”।
অন্তহীন যুদ্ধ
মার্কিন কর্মকর্তারা কাতারে তালেবানদের সাথে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছে, ১৭ বছরের যুদ্ধকালে যেটাকে শান্তি আলোচনার জন্য সবচেয়ে জোর প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করা যায়। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৮ ফেব্রুয়ারি তালেবান প্রতিনিধিরা মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে আবারও বৈঠকে বসবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, সামরিক বাহিনী চিন্তাভাবনা করছে, আফগানিস্তান থেকে তাদের ১৪ হাজার সেনার মধ্যে অর্ধেক সরিয়ে নিলে পরিস্থিতিটা কি দাঁড়াবে।
এতে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে ক্ষুদ্র মার্কিন বাহিনী আফগান সামরিক বাহিনীকে কতটা সাহায্য করতে পারবে এবং অন্যান্য ইউরোপিয় সেনা যারা আমেরিকান হেলিকপ্টারের উপর নির্ভর করে, তারা নিজেদের সরিয়ে নেবে কি না।
আফগানিস্তানে সন্ত্রাস বিরোধী তৎপরতার জন্য কত বড় বাহিনী সেখানে রাখতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র, সেই প্রশ্নও তৈরি হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি ভোটেল। তিনি উল্লেখ করেন যে, সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এখনও আদেশ পাননি তিনি।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান এ সপ্তাহে একই ধরনের একটা আশ্বাসের কথা বলেছেন। হতবিহ্বল ন্যাটো জোটের উদ্দেশে তিনি বলেন যে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের যে কোন সিদ্ধান্ত হলে সেটা সমন্বিতভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে।
অন্তহীন যুদ্ধের ব্যাপারে ট্রাম্পের উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভোটেল বলেন: “আমরা নিজেরাও অন্তহীন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই না। আমরা এখানে আমাদের মিশন শেষ করতে চাই”। সূত্র : এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান থেকে হাজার খানেক সেনা সরিয়ে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ