পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ। বর্তমান গঠনতন্ত্রে ডাকসু সভাপতি বা নির্বাহী কমিটি দ্বারা উপর থেকে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দেয়া ফর্দ উল্লেখ করে গঠনতন্ত্রে উপাচার্যের ক্ষমতার ভারসাম্য আনা প্রয়োজন দাবি করে বিষয়টি আলোচনার টেবিলে উঠাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক নিরসনে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব বিষয় জানান তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, ২০১২ সালে ডাকসুর দাবিতে সক্রিয় থাকা মওদুদ মিষ্ট, নূর বাহাদুর, তোয়াহা ফারুক, কাজী তৌফিক ইমাম, সাদমান সাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ২০১২ সালে এ সংগঠনটির পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে সংগঠনের ২৫ জন শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন দিতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। সংগঠনটির দাবি সে রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই এবারের ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মওদুদ মিষ্ট। এতে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ডাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। মাসের পর মাস ধরে চলা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের মৃতপ্রায় দাবিটিকে আমরা সক্রিয় করি। ২৫ জন শিক্ষার্থী মিলে আমরা রিটের আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমরা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচার কর্তৃপক্ষ তখন পরিবেশের দোহাই দিয়ে নির্বাচন দেয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে নিজ হাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের খপ্পরে ঠেলে দিচ্ছে। ডাকসু শিক্ষার্থীদের সংগঠন। অথচ গঠনতন্ত্রে এর চূড়ান্ত ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে দেয়া হয়েছে। এটি মুক্তচিন্তা ও জ্ঞানচর্চার প্রতিবন্ধক । ভোট নিয়েও শঙ্কার শেষ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক না হলে শিক্ষার্থীদের উচ্ছলতা হতাশায় নিমজ্জিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে রিট আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ডাকসু নিয়ে আদালত রায়ে পুলিশের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার। প্রয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র সংগঠনগুলোর সংঘর্ষ বা অন্য কোনো অজুহাত দেখিয়ে যেন ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
অনশনে বসতে পারেনি ওয়ালিদ আশরাফ
হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্রসহ ৪ দফা দাবিতে অনশনে বসতে চাইলেও ওয়ালিদ আশরাফকে বসতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন এর আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশন করা সান্ধ্যকালীন কোর্সের এ ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এ বিষয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে সেখানে না বসতে অনুরোধ করা হয়েছে। তার যদি কোন সুনির্দিষ্ট দাবি থাকে তা লিখিতভাবে দেয়ার আহ্বান জানান প্রক্টর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।