Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতীয় নৌবাহিনীতে বউবদল খেলা

নির্যাতিতা নারীর গণধর্ষণের অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের নৌবাহিনীর মধ্যে ‘বউবদল খেলার’ ছলে সহকর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এক নৌ-কর্মকর্তার স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল (স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম-এসআইটি) গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছে। নির্যাতিতা ওই নারীর দাবি, শুধু তিনি নন, এই ঘটনা বেশিরভাগ সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীদের জীবনে ঘটে থাকে। তদন্তে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন আশঙ্কায় ঘটনাটির সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন নৌ-কর্মকর্তার স্ত্রী।
কিন্তু আদালত সেই দাবি নাকচ করে দিয়ে পুলিশকেই তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি মামলাটি কেরালা থেকে দিল্লিতে স্থান্তারেরও দাবি জানিয়েছিলেন, ওই নারী কিন্তু আদালত তাও নাকচ করে দেয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং এনডিটিভিতে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার শুরু ২০১৩ সালে। ওই বছরের ৪ এপ্রিল নৌ-কর্মকর্তার স্ত্রী এ অভিযোগটি আনেন। বিয়ের এক বছর পর ২৬ বছর বয়সী ওই নারী তার স্বামী, স্বামীর চার সহকর্মী এবং আরেক সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেন।
শারীরিক ও মানসিকভাবে তার ওপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, পাঁচ নৌ-কর্মকর্তা এবং তাদের একজনের স্ত্রী তার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। নৌ-কর্মকর্তারা হরহামেশাই ‘স্ত্রী অদল-বদল খেলা’ বা ‘ওয়াইফ সোয়্যাপ’-এর ছলে এ কর্মটি করে থাকেন। ঘটনার বিবরণে বলা হয়, বিয়ের পরে স্বামীর কর্মস্থল কেরালা রাজ্যের কোচিতে ছিলেন ওই নারী। সেখানেই তাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। আদালতে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, স্বামীর কর্মস্থানে নিয়মিত ‘বউবদল’ পার্টি হতো। প্রথমে তিনি এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানতেন না। একদিন তিনি আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। অভিযোগ করা হয় এরপরই ওই নারীর ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। প্রথমে তার স্বামী তাকে জোর করেন ‘বউ অলদ-বদল খেলায়’ অংশ নিতে কিন্তু স্বামীর এই কথায় রাজি না হওয়ায় স্বামীর উসকানিতে তার চার সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে পাগল প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন। এই নির্মম অভিজ্ঞতা নিয়ে তরুণী প্রথমে কোচি বন্দর থানার পুলিশের কাছে যান। কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগটি নেয়নি। এরপর তিনি যান ভারতীয় নৌবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার এবং শেষে নৌবাহিনীর প্রধানের কাছে কিন্তু কেউ ওই নারীর অভিযোগটি শুনতে চাননি। শেষে তিনি প্রতিরক্ষা দপ্তরে অভিযোগটি করেন। এরপরই টনক নড়ে সরকারের। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতীয় নৌবাহিনীতে বউবদল খেলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ