বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত হল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই। মৌলভীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর মাসুদ আহমদের উদ্যোগে এই ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
শহরের বড়কাপন মাঠে ১২ ফেব্রুয়ারি এই ষাঁড়ের লড়াই দেখতে কৌতূহলী দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এই ষাঁড়ের লড়াইও ছিল বেশ উপভোগ্য। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলাসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০টি (১৫ জোড়া) ষাঁড় অংশ নেই। লড়ায়ে অংশ নেওয়া প্রতিটি ষাঁড়ই ছিল বাহারি রংয়ের আকর্ষণীয় দেহের। এসকল ষাঁড়ের সৌখিন মালিক (দেশী ও প্রবাসী) নানা রং ঢং আর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তাদের দলবল নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সকাল থেকেই প্রতিযোগিতার মাঠে বাদ্যযন্ত্রসহ একের পর এক ষাঁড়, ষাঁড়ের মালিক ও ওই দলের সমর্থকরা মাঠে আসতে থাকেন। ষাঁড়ের লড়াই শুরুর আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জেলার বাহির থেকে আসা সৌখিন ষাঁড়ের মালিকগণ আগের দিন থেকে ষাঁড় নিয়ে আয়োজনকারীর বাড়িতে জড়ো হন। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে শিশু কিশোর, মহিলা, ছেলে, বুড়ো নানা বয়সের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে বড়কাপন মাঠে। বর্ণিল রঙের ষাঁড়ের উপস্থিতি প্রতিযোগিতাকে প্রাণবন্ত করে রূপ দেয় উৎসবের। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেকটি ষাঁড়কে বিভিন্ন ও বিচিত্র নাম দেওয়া হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নেওয়াজ পাগলা, দয়াল, কলঙ্কর ফুল,বিকট,হিরালাল,ফাটা কৃষ্ণ ইত্যাদি। প্রতিযোগীতায় প্রথম পুরষ্কার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বড়কাপনের “নেওয়াজ পাগলা” নামের ষাঁড়ের মালিক মাসুদ আহমদের কাছে তোলে দেয়া হয়। ২য় পুরস্কার পায় “দয়াল” নামীয় ষাঁড় ও ৩য় পুরষ্কার পায় “কলঙ্কর ফুল”। ১ম পুরস্কার ছিল মোটর সাইকেল, ২য় পুরস্কার ২১ ইঞ্চি টিভি, ৩য় পুরস্কার ছিল ২১ ইঞ্চি টিভি।
এছাড়া শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয় ৭টি ১৪ ইঞ্চি টেলিভিশন, ৩টি সিলিং ফ্যান ও ২টি ডিনার সেট।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তোলে দেন প্রতিযোগিতার আয়োজক কাউন্সিলার মাসুদ আহমদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনছার মিয়া,ওয়েছ মিয়া,সমছু মিয়া,লায়েক মিয়া,কবির মিয়া,আব্দুর রহমান মনা, ব্যবসায়ী কামরু মিয়া, বিশিষ্টি মুরব্বী আরশদ মিয়া,ব্যবসায়ী মালিক মিয়া, বিশিষ্ট মুরব্বী মছব্বির মিয়া ও সুন্দর মিয়া প্রমুখ।
আয়োজক মাসুদ আহমদ জানান এই অনুষ্ঠানটি গেল বছরের ১৬ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল জাতীয় নির্বাচন থাকায় তা পিছায়। তিনি সকলের সহযোগিতা পেলে প্রতিবছরই তা আয়োজন করবেন বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন এবছর ২৬ মার্চ আবারও আয়োজন হবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই ষাড়ের লড়াই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।