নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার কিংব্যাক মোনেম মুন্নার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল। ২০০৫ সালের এই দিনে শুধু ফুটবলই নয়, ক্রীড়াঙ্গনের সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ঢাকা আবাহনী ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ডিফেন্ডার মোনেম মুন্না। মুন্নার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনসহ (বাফুফে) অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠন ও সংগঠকরা। মুন্নার নিজ শহর নারায়ণগঞ্জেও পালিত হয় কিংব্যাকের মৃত্যুবার্ষিকী। এ ঊপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সোনালী অতীত ক্লাব এদিন সকালে বন্দরস্থ মোনেম মুন্নার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সন্ধ্যায় ক্লাবটি আয়োজন করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মুন্নার জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকার ফুটবলে মোনেম মুন্নার আগমন ১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার লিগে পোস্ট অফিস দলের হয়ে। তবে বাংলাদেশ ফুটবলে মুন্না প্রথম নজরকাড়েন ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগের দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে নাম লিখিয়ে। এই দলে দাপটের সঙ্গে খেলে সবাইকে তাক লাগান। প্রথম দুই মৌসুম মুক্তিযোদ্ধায় খেলে মুন্না যোগ দিয়েছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে। ১৯৮৭ সালে যোগ দেন ঢাকা আবাহনীতে। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত খেলেন এই দলের জার্সি গায়েই।
বাংলাদেশের ফুটবলে অনত্যম বড় সেলিব্রেটির নাম মোনেম মুন্না। হালের ফুটবলারদের কেউ কেউ বর্তমানে ক্লাব থেকে অর্ধকোটি টাকা পারিশ্রমিক পেলেও মুন্না ২৮ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯১ সালে আবাহনীতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ২০ লাখ টাকায়। ওই সময় যা ছিল অকল্পনীয়। তার সেই পারিশ্রমিক তখন উপমহাদেশের ফুটবলে হইচই ফেলে দিয়েছিল। কেবল পারিশ্রমিকের দিক দিয়েই নয়, পারফরম্যান্সেও তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।
মোনেম মুন্না জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন একাধিকবার। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তার। ১৯৯০ বেইজিং এশিয়াডে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজ ফুটবল দলের অধিনায়ক হন তিনি। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। যা ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের প্রথম কোনো ট্রফি জয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও দারুণ জনপ্রিয় ফুটবলার ছিলেন মোনেম মুন্না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলে তিনি বাংলাদেশের ফুটবলে বিজ্ঞাপন হয়েছিলেন ভারতে। অসময়ে তার চলে যাওয়াতে দেশের ফুটবলে বিশাল শূণ্যতা এনে দিয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।