রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অস্তিত্ব হারাচ্ছে ঝিনাইগাতীর ঐতিহ্যবাহী ধলী বিল ও গজারমারী নদী। প্রতি বছর বন্যার সময় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে ভেসে আসা বালি ও পলিমাটিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ধলী বিল ও গজারমারী নদী। বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, গোটা বিল এবং গজারমারী নদী দখল করে এক শ্রেনীর মানুষ রীতিমতো ইরি-বোরো আবাদ করছে। এতে ধ্বংসের সম্মুখীন হচ্ছে জীব-বৈচিত্রসহ জলজ প্রাকৃতিক পরিবেশ। সারি কালিনগরের প্রবীন ব্যক্তি আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার জানান, উপজেলার নিন্মাঞ্চল ধলী বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গজারমারী নদী পানির আধার হিসেবে পরিচিত। শুস্ক মৌসুমে বিল এলাকার অধিকাংশ কৃষি জমিতে সেচ সুবিধার মাধ্যমে বোরো আবাদ করা হয়। আর বর্ষা মৌসুমে বিলের পানিকে কেন্দ্র করে মাছের প্রজননসহ মাছের অবাধ বিচরণের ভূমিতে পরিনত হতো।
অপরদিকে অপরিকল্পিতভাবে বিলের কৃষিজমির উপর বাড়িঘর, গাছ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে দ্রæত বিলও নদী এলাকা জেগে ওঠছে। আবার এক শ্রেনীর ভূমিখেকো তা দখলও করে নিচ্ছে। কেউবা জাল কাগজ-পত্র তৈরির মাধ্যমেও বিলও নদীর দখল অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা যায়। তিনি আরো জানান, গজারমারী নদী ও ধলী বিলে অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। অপরিকল্পিত এবং অবৈজ্ঞানিক উপায়ে বিলের কৃষি জমি ভরাট করে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ এবং গাছ-পালা রোপন করে অদুর ভবিষ্যতে বিলের জলজ, জীব-বৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনবে। অভিজ্ঞমহলের মতে গজারমারী নদী ও ধলী বিল এই এলাকার পানির আধার হিসেবে পরিচিত। অতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে পানি জমা হতো। কিন্তুু বর্তমানে পূর্বের ন্যায় আর পানিতো জমেই না, বরং এখন বর্ষা মৌসুমে বন্যায় পলি-বালি জমে বিল ও নদী ভরাট হয়ে গেছে।
তাছাড়াও সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত এবং একশ্রেনীর ভূমিখেকো জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমেও বিপুল পরিমান জমি দখল করে নেয়ায় এক সময়ের খরস্রোতা গজারমারী নদী ও ধলি বিলের অস্তিত্ব আজ মারাত্মক হুমকির মুখে।
এ ছাড়াও ঝিনাইগাতীর অন্যান্য বিল ও নদীর অবস্থাও তথৈবচ। প্রসঙ্গত এসব বিল ও নদী বর্ষা মৌসুমে মাছের জন্য ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে। বিলে মাছের ডিম পাড়ার জন্য মাইগ্রেট রোড থাকতে হয়। কিন্তুু অপরিকল্পিত কার্যক্রমের জন্য বিল ও নদী সংকুচিত হওয়ায় মাছের গতিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে মাছের উৎপাদন ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে এবং জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণে ভবিষ্যতে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশংকা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।