পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেতন বাড়ানোর দাবিতে টানা আন্দোলনের মুখে পরিস্থিতি কিছুটা শীতল হলেও ছাঁটাইয়ের কবলে পড়েছে পোশাক খাত। এ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পোশাক খাতের কর্মীদের গণহারে ছাঁটায়ের কারণে যে কোন সময় শ্রমিক অসন্তোষ দানা বাঁধতে পারে। ‘শ্রমিক আন্দোলনের পর ২৭ কারখানায় ৭ হাজার ৫৮০ শ্রমিক ছাঁটাই’-শীর্ষক রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বেতন বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশে সম্প্রতিক শ্রমিক আন্দোলন শেষ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ কারখানা থেকে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণেই এ রকম ছাঁটাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের প্রধান বাবুল আখতার বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ২৭ কারখানা থেকে অন্তত সাত হাজার ৫৮০ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলনের অংশ নেওয়ায় এইচ এন্ড এম ও নেক্সটসহ অন্তত তিনটি ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি কারখানাতেও সম্প্রতি শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে রাজধানী ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের প্রধান কাজী রুহুল আমিন জানান, যেসব শ্রমিক স্লোগান দিয়েছে বা আন্দোলনের সময় কাজ বর্জন করেছে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ও যাদের কোন রকম শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তারা এখন চাকরি হারাচ্ছে।
পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগ-উৎকন্ঠা রপ্তানি আয়সহ গার্মেন্টখাতে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারস এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএমই) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিদেশী সংগঠনগুলো সবসময়ই একটু বাড়িয়েই বলে থাকে। তিনি জানান, আমাদের কারখানা আছে ৩ হাজারের কিছু বেশি অথচ সংগঠনগুলো বলছে ৭ হাজারের বেশি। শ্রমিক আন্দোলনের পর ৪ হাজারেরও কম শ্রমিক চাকুরিচ্যুত হয়েছে। এটা হতেই পারে।
তিনি বলেন, কাউকে ছাঁটাই করা হয়নি। শ্রম আইনের ৫টি ধারা আছে, এই ধারা মেনে কেউ যদি শ্রমিককে বাদ দেয় তাহলে কিছু করার নেই। তিনি বলেন, একটি ফ্যাক্টরিতে যদি লোক না লাগে, আগামী মাসে বেতন দিতে না পারা এবং শ্রমিক যদি কোনো অন্যায় করে তাকে শোকজ করে, শোকজের উত্তর সন্তোষনজনক না হলে তাকে বাদ দিতে পারে। মোটকথা শ্রম আইনের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করার সুযোগ নেই ফ্যাক্টরিগুলোর।
যেসব শ্রমিকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ভাঙচুর ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্দে কোন মামলা হবে না বলে উল্লেখ করেন সিদ্দিকুর রহমান।
নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধেও মামলা-হয়রাণি করা হচ্ছে এ বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ রকম খবর আমার জানা নেই। যদি হয় তাহলে শ্রমিকরা বিজিএমইএ/কোর্ট অথবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে।
এদিকে কয়েকজন শ্রমিক বলেছেন, তারা শান্তিপ‚র্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু অন্যান্য শ্রমিকদের একজোট করার প্রচেষ্টা চালানোর কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শ্রমিক বলেন, (ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের) তালিকায় আমার নাম শীর্ষে দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় আমি প্রতিদিন কাজে গেছি। আমি কখনোই কোন ভাঙচুর বা অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার ও আমার সহকর্মীদের নাম তালিকায় আসার পেছনে কারণ ছিল, আমরা একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছিলাম। বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক শিল্প রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। প্রতি বছর গড়ে পোশাক শিল্পের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয় আনুমানিক তিন হাজার কোটি ডলার।
এদিকে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলেন, ক্রোনি গ্রুপ, ইস্ট ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড ও মেট্রো নিটিং এন্ড ডায়িং মিলস লিমিটেড থেকে সম্প্রতি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সুইডেন-ভিত্তিক এইচ এন্ড এম ও ব্রিটিশ ব্র্যান্ড নেক্সটের জন্য পোশাক তৈরি করে থাকে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে জানতে চেয়ে ক্রোনি ও মেট্রোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইস্ট ওয়েস্টের প্রধান প্রশাসক আমিনুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের সময় ৭ই জানুয়ারি বেশ কয়েকজন শ্রমিক কারখানায় হামলা চালিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর সব মিলিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের ৮শ’রও বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে।
ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান কোন অবৈধ বা অন্যায্য কাজ করছে না। তিনি বলেন, আমরা জানি, এমনটা করলে আমাদের ক্রেতারা এটা হালকাভাবে নেবে না। তারা এটা পছন্দ করবে না। বিদেশি ব্রান্ডগুলো জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এক ই-মেইল বার্তায় নেক্সট ব্র্যান্ড জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি স¤পর্কে অবগত। বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব অডিট কর্মচারীরা এ বিষয়ে তদন্ত করছে। এ ছাড়া জারা, ম্যাঙ্গো, গেস ও সাকসসহ অন্যান্য ইউরোপীয় ও মার্কিন ব্রান্ডগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে দেশের পোশাক শ্রমিকদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক রিটেইল চেইন ‘এইচ অ্যান্ড এম’ বলেছে, তারা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষে হলেও ভাংচুর-সহিংসতাকে সমর্থন করে না। পোশাক খাতের নামি এই ব্র্যান্ড গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং এইচ অ্যান্ড এমের পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের কল্যাণে তারা সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
বছরের শুরুতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনার পর বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রেক্ষাপটে এইচ অ্যান্ড এমের এই বিবৃতি এল। যেসব কারাখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে কয়েকটি গার্মেন্ট এইচ অ্যান্ড এম এর জন্যও পোশাক তৈরি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রমিক অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টায় কারখানা কর্তৃপক্ষ, ইন্ডাস্ট্রিঅলসহ সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এইচ অ্যান্ড এম বলছে, কারখানা থেকে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে তারা অবগত এবং সব পক্ষের সঙ্গে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে, যাতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সঠিক কারণ নিশ্চিত করার বিষয়ে ওই চুক্তির সব পক্ষ সম্মত হয়। এ বিষয়টিতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি এবং গার্মেন্ট কারখানা, শ্রমিক সংগঠন ও ক্রেতাদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব পক্ষকে সব সময় শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানাচ্ছি এবং তা যাতে সম্ভব হয়, সেই চেষ্টায় নিয়োজিত আছি।
জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় পোশাক খাতের শ্রমিকরা আবার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে, গতকাল রোববার গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধের ঘটনায়। অথচ এ বিষয়ে একেবারেই নীরব ভ‚মিকা পালন করছেন মালিকপক্ষ। এতে বিক্ষোভের আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই খাতের সংশ্লিষ্টরাই।
গতকাল সকালে গাজীপুরের মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি করে আসছেন। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি কর্ণপাত করেননি। এতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
গাজীপুর পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইল শিল্প অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় বাড়ি ভাড়া তুলনাম‚লক বেশি। তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দামও আগের থেকে বেড়েছে। বারবার মালিকপক্ষের কাছে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানায় টেক্সটাইল শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে বিটিএমএ এর সভাপতি ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী খোকন একাধিক বৈঠক করেছেন সদস্যদের সাথে। তবে এসব বিষয়ে একেবারেই চুপ রয়েছেন মালিকপক্ষ। বিটিএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী বলেন, স্যার এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন ওয়েবওয়্যার-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন বাড়ানোর দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর শ্রমিক ছাঁটাইয়ে বাংলাদেশে পোশাক খাতে অস্থিরতার আশংকা করা হচ্ছে। এতে ‘আনরেস্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের মতে, এজন্য বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে অস্থিরতার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। একই সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, খুচরা ক্রেতা, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিলে সংঘাতময় পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের হতাশা পরিষ্কারভাবে দেশে শিল্প সংশ্লিষ্ট সম্পর্ককে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়কে জোরালোভাবে তুলে ধরে। যখন শ্রমিকদের কথা শোনা হবে, যখন শ্রম বাজারের পক্ষগুলো শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধের সমাধান নিয়ে কাজ করবে এবং যখন নিয়মিতভাবে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠানো পর্যালোচনা (রিভাইস) করা হবে। তখনই এরকম পরিস্থিতির মতো একটি পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব। যাই হোক, গার্মেন্ট শ্রমিকদের হতাশার বিষয়টি আমরা যদিও বুঝি এবং তাদের প্রতি পূর্ণ সহানুভ‚তিশীল, তবুও আমরা ভাঙচুর ও সহিংসতাকে শেষ উপায় হিসেবে উৎসাহিত করতে পারি না।
সব পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে সংঘাতময় অবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে উৎসাহিত করি। আমরা এমন ঘটনায় নিজেদের এভাবেই দেখতে চাই। এ জন্যই আমরা গ্লোবাল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের অধীনে গ্লোবাল ইউনিয়ন ইন্ডাস্টিয়াল ও সুইডেনের ট্রেড ইউনিয়ন আইএফ মেটঅল-এর সঙ্গে সৃষ্টি করেছি ন্যাশনাল মনিটরিং কমিটি। সংঘাতময় পরিস্থিতির একটি শান্তিপূর্ণ প্লাটফর্ম এটি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও এবং বৈশ্বিক ইউনিয়নগুলোর নির্দেশনার অধীনে আমরা গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিকে সমর্থন করি। এসব নির্দেশনায় প্রয়োজনে শ্রমিক ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সমন্বিত দর কষাকষির বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। সেই দর কষাকষি হলো শ্রমিকদের বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।