Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেলপথে কক্সবাজার-চীন

২০২২ সালে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকতপানে ছুটবে ট্রেন

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

১২৯ বছরের স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে রেলপথে কক্সবাজার। এরপর ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যখন সংযোগ ঘটবে তখন ট্রেনে চেপেই পৌঁছানো সম্ভব হবে মিয়ানমার পেরিয়ে চীন। চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন রয়েছে। এখন দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬ হাজার ৩৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিলে এবং বাকি ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই রেলরুটে দ্রুতগতির ট্রেন চলাচলের উপযোগী ডুয়েল গেজ রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মিত হবে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলা বান্দরবান রেলপথে যুক্ত হবে। এ যাবৎ কাজের অগ্রগতি প্রায় ২৮ শতাংশ।
সবকিছু ঠিকঠাক মতো এগিয়ে গেলে আর মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে আগামী ২০২২ সালে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকতপানে ছুটবে যাত্রীবাহী ট্রেন। চট্টগ্রাম থেকে অপরূপ প্রকৃতির শোভা উপভোগ করতে করতে মাত্র দেড়-দুই ঘণ্টায় পৌঁছানো সম্ভব হবে কক্সবাজার শহরে। সেখানে সৈকতের কাছাকাছি ‘মুক্তার ধারক ঝিনুকে’র মডেলে নির্মিত হবে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন। একে ঘিরে গড়ে তোলা হবে শপিং কমপ্লেক্স, অভিজাত হোটেল-মোটেল, বাণিজ্যিক ভবন ও বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন। এর ফলে পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ এবং তার বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, সৈকতনগরী কক্সবাজার।
অর্থনীতিবিদদের অভিমত, সমগ্র কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত বা বেলাভূমি ও এর সংলগ্ন পাহাড়-টিলা, বন-জঙ্গল, সমতল ভূমি অবৈধ দখলবাজদের কব্জা থেকে কঠোরহাতে পুনরুদ্ধার, দূষণরোধ, আইন-শৃঙ্খলা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও সৈকত সংরক্ষণের জন্য নিবিড়, সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। কেননা দেশে বিশেষ করে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প বিকাশের পথে এগুলো বড় বাধা।
কক্সবাজার-ঘুনধুম রেলপথ সম্পন্ন হলেই ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের পথে এক ধাপ দেশ এগিয়ে যাবে। তাছাড়া কক্সবাজার-ঘুনধুম পর্যন্ত মহাসড়ক সম্প্রসারণ করে এর আরো বিস্তৃতি ঘটবে। যা মিয়ানমার হয়ে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং সিটির সঙ্গে আন্তঃদেশীয় মহাসড়কপথে সংযুক্ত করবে বাংলাদেশকে। মহাসড়কের কাজ শুরু হয়ে আপাতত থমকে আছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানায়, ফের কাজ চালু হবে। এরফলে পশ্চিমে আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে পূর্বে চীন অবধি ঐতিহাসিক সেই ‘সিল্ক রুট’ হবে পুনরুজ্জীবিত। এরফলে জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার পূর্বমুখী (লুক ইস্ট) অর্থনৈতিক কূটনীতির দুয়ার খুলে যাবে। বিনিয়োগ-শিল্পায়ন ও বাণিজ্যিক বন্ধন সহজতর হয়ে উঠবে। কৃষি-খামার ও শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর বাজারজাত এবং রফতানি সুবিধার প্রসার ঘটবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনসাধারণের কর্মচাঞ্চল্য ও স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম ডুয়েল গেজ রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণের ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষও সরাসরি ট্রেনে কক্সবাজার যেতে পারবেন। গত ২৩ জানুয়ারি সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট ঢাকা’কে উক্ত প্রকল্পের কাজ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। উক্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠক শেষে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কক্সবাজারে ট্রেনে অতিদ্রুত যাওয়া সম্ভব হবে। আর কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মূল সমস্যা ছিল ভূমি অধিগ্রহণ। এখন প্রয়োজনীয় জমি আমরা পেয়েছি। কাজও শুরু হয়ে গেছে। ২০২২ সালে এ প্রকল্প শেষ করার কথা রয়েছে। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের দোহাজারী রেলপথকে এখন দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। আবার রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত আরেকটি রেললাইন নির্মাণের কাজও চলছে। যা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে সরাসরি ট্রান্স-এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করবে। মেগাপ্রকল্পের ডিজাইনে পরিবর্তন এবং ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে শুরুর দিকে কাজে স্থবিরতা ছিল। এখন গতি এসেছে। প্রকল্পের জন্য মোট এক হাজার ৪শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত চার ভাগের একভাগ আয়ত্তে আসার সাথে সাথে প্রকল্পের ফিজিক্যাল কাজও এগিয়ে চলেছে। ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম লটে দোহাজারী-রামু রেলপথ এবং দ্বিতীয় লটে রামু-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয় গতবছর মার্চ ও জুলাই মাসে। রেলপথ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে যৌথভাবে চীনের দু’টি এবং বাংলাদেশের দুই প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-দোহাজারী ভায়া ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের মধ্যদিয়ে হয়ে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরে সংযুক্ত হওয়ার পথে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে গেল। চট্টগ্রাম-দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজে রয়েছে ৯টি নতুন রেলস্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট ব্রিজ, ১৪৯টি কংক্রিট বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট (পাইপ কালভার্ট)। ঘণ্টায় একশ’ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন রেললাইনে অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থা সংযোজন করা হচ্ছে। কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের আদলে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন কমপ্লেক্স নির্মিত হবে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের (সাবেক বার্মা) আকিয়াব বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য সোয়া একশ বছর আগে ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ আমলে প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু শত বছর পার হলেও এই রেলপথ নির্মাণের মূল কাজ শুরুই হয়নি। এ দীর্ঘকালে দফায় দফায় চলে সমীক্ষা। ১৯১৭ থেকে ১৯২১ সালে চট্টগ্রাম-দোহাজারী পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে পরিকল্পনা অনুসারে কক্সবাজার পর্যন্ত বাদবাকি অংশে রেলপথ তৈরি হয়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেলপথ স্থাপনে জন্য ২০১০ সালে প্রথম প্রকল্প নেয়া হয়। সফল পরিকল্পনা মন্ত্রী, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের হাত ধরে যার বাস্তব রূপায়ন ঘটছে।



 

Show all comments
  • Nazrul Islam ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
    Very good news for the tourism sector, good news for the whole nation. Many thanks to the Daily INQILAB newspaper. Cox's Bazar sea beach must have to secure 100% and should be preserve by the Govt from now on.
    Total Reply(0) Reply
  • Uzzal Uzzal ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    Jolse alo cholse desh agie jacce Bangladesh
    Total Reply(0) Reply
  • চৌধুরী সাহেব ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    Passport ki sir banate dibo?
    Total Reply(0) Reply
  • Imran Hossain ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    দেশের অভ্যন্তরে অবস্থা খারাপ আবার বাহিরে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • জিয়াউল হক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    Long live China Bangladesh relationship . Stop killing Uighur Muslim please .
    Total Reply(0) Reply
  • Shopon Bhuiyan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    আগে বাংলাদেশের যাতায়াত ঠিক করেন।পাউ নিউজ করার কোন দরকার নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Bidhan Barua ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    আমার নিজের গ্রামের রাস্তা ঠিক নাই। আমাগোরে চীন থাইল্যান্ড নিয়ে যাইতেছে । দেখলেন কোন দেশে বাস করি । ডাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abul mal ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 1
    আশা করি 2022 সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ উন্নয়নের প্রত্যক্ষ সুফল ভোগ করতে শুরু করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nauzuan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    Appreciable decisions.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 1
    এজন্যই আওয়ামী লীগ সরকারকে আমাদের বারবার দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Sk N Tariq ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 1
    কক্সবাজারের মত এত আকর্ষণীয় জায়গায় স্বাধিনতার ৪৭ বছরেও রেল লাইন হয় নাই , এটা আসলেই লজ্জাজনক । এই সরকারকে ধন্যবাদ যে দেরিতে হলেও কাজ শুরু করেছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Bokul Ahmed ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের পাশ দিয়ে রেল লাইন বসানো যেতে পারে। তাতে পর্যটক বান্ধব ট্রেন সার্ভিস চালু করতে পারলে দ্রুত অর্থও উঠে আসবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    Please don't give more promise. You gave enough. So you should implement those. Then try to next. Thank you honorable Minister.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    আগে বাল্লা-চুনারুঘাট-শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে হবিগঞ্জের রাস্তাটা আবার চালু করে দিন, স্যার।
    Total Reply(0) Reply
  • শহিদুল আলম ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    রেলপথে চীনের সাথে যোগাযোগ দেশের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী প্রভাব ফেলবে। দেশের সবগুলো জেলা চারলেনে উন্নীত হলে আমাদের মতো ছোট দেশে রেলপথ সাধারণ মানুষের জন্য খুব বেশি পপুলার নাও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে কন্টিনেন্টাল এবং রিজিওনাল কানেকটিভিটি খুবই জরুরি।
    Total Reply(0) Reply
  • Arif ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের আগে মিয়ানমার নামক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের সাথে আমাদের বিশেষ কোনো সম্পর্ক বজায় রাখা নিজেদের জন্য আত্মঘাতী হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • K. L. M Mofidul islam ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    আগে সিরাজগঞ্জ -বগুড়া রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প শেষ করেন । উত্তরবঙ্গের ১১টা জেলার লোকের দুর্ভোগ কমান । চীনে পরে গেলেও চলবে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Enamul Hafiz Latifee ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    রোহিঙ্গা সমস্যা যতোদিন সমাধান না হচ্ছে, ততোদিন মিয়ানমারের সাথে এধরণের কিছুতে যাওয়া আত্মঘাতী হতে পারে, কারণ, এমনও তো হতে পারে, সেই ট্রেনের ফিরতি রুটে মিয়ানমারের আর্মিরা বাধ্য করে পুরো ট্রেন বোঝাই করে রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে দিলো বাংলাদেশে। এদেশে এখন ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে, পাশাপাশি ২ লাখের মতো ভারতীয় এবং পাকিস্তানি বিহারি আছে। ২০৩০ সাল নাগাদ এদের সংখ্যা ৩০ লাখের কাছাকাছি চলে যেতে পারে কারণ এদের শিশু জন্মহার অনেক বেশি, সেক্ষেত্রে, এই যে স্বাধীনতার অপশক্তির/দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীর কথা বলা হচ্ছে, এদেরকেই তো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে, তখন নিজেদের দেশেই বাঙালিরা থাকতে পারবে না। বাঙালিদের ভাগ্য না আবার ফিলিস্তিনিদের মতো হয়ে পড়ে!
    Total Reply(0) Reply
  • Abu ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    দেশের রেল ই ভালো করতে পারে না। আবার বাইরের সাথে যোগাযোগ। সুবুদ্ধি আসবে কবে আমাদের দেশের রাজনীতি তে???? জাতি জানতে চায়। আর এখন কিছু ন্যায্য দাবি জানালেই তো সরকার ভেবে নেয় তার বিপক্ষে বলছি। হায়রে বাংলাদেশ।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    মিয়ানমার আর চীনে ট্রেন:পরে গেলেও চলবে। আগে নিজ দেশেই ট্রেন ঠিকমতো ঠেলেন ৷৷ খুশিতে বুলি শুনতে আর ভাল্লাগেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • amrantalukder ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    একটি দেশ উন্নতি তখন করবে যখন দেশের যোগাযোগ ব্যবস্হা ঠিক করবে। আগে দেশের অভ্যন্তরীন বাস, রেল এগুলো ঠিক করেন। আর রেলে করে চীনে গিয়ে কি করবে আমাদের দেশের মানুষ.....
    Total Reply(0) Reply
  • md younoch ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    খাইছে! এখনো কক্স- চট্টগ্রাম লাইনের খবর নাই, তার উপর চায়না। বাহ্। সরকারের কাছে অনুরোধ আগামী এক বছর নতুন প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। পুরোনোগুলো আগে পূর্ণ করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • parvez ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৭ এএম says : 0
    ভুলা উচিৎ নয় যে, চীন কেনিয়াকে সাহায্য দেবার বিনিময়ে মুম্বাসা বন্দরের মালিকানা চাচ্ছে। এখানেও তারা চট্টগ্রাম বন্দরকে দাবী করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • বি এম নাজমুস সাকিব ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৮ পিএম says : 0
    প্রকল্পে ধীরগতি ও জমি অধিগ্রহণ এই দুই কারনে সময় এবং খরচ দুইটা সমান তালে বাড়ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmus Sakib ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম says : 0
    প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।৷৷আর চাঁদপুর টু চট্টগ্রাম রুটে নতুন এক জোড়া ট্রেন চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেল

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ