Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বড় ফেনী নদী দখলের উৎসব

সোনাগাজী (ফেনী) থেকে জসিম উদ্দিন আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বড় ফেনী দখলের উৎসব চলছেই, মনে হয় দেখার কেউ নেই?
সরজমিনে জানা যায়, ১৯৭৭ থেকে ৮৬ সালে মুহুরী সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। নদীতে ৩.৫০ কিলোমিটার বাঁধসহ নির্মিত সেচ প্রকল্পটির দুপাশে প্রায় ১২ কিলোমিটার নদী ভরাট করে মিরসরাই ও সোনাগাজী উপজেলার প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করে আসছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্যাহ, মিরসরাই উপজেলার, মোস্তফা সওদাগর, বদি মেম্বার, নুর ইসলাম চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, ফারুক সওদাগর, কামরুল মোল্লা, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান এমপি মোশাররফ হোসেনসহ প্রায ৫০০ শতাধীক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় মিন্টু জানান, আমার বাড়ি এ অঞ্চলে, আমি যতটুকু দেখেছি, মুহুরী সেচ প্রকল্পটি মূলত নদী থেকে জেগে উঠা নতুন চরে নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটি নির্মাণের পর থেকে চলছে নদী দখলের উৎসব। নদীর দু:পাশে ধীরে-ধীরে প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ করছে। তিনি আরো জানান, ১৯৯০ সালের পর থেকে ওই নদীতে শীতকালে বহু অতিথি পাখি দেখা যেত। ওই সব অতিথি পাখির কলরবে এলাকা ছিল মুখরিত। নদী ভরাট করার কারনে এখন আর ওই সব পাখি তেমন দেখা যায় না। নদী থেকে নতুন চর জেগে উঠার পর ওই সব ভুমি ও ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু ব্যাক্তিকে ইজারা প্রদান করলে বাকিরা ক্ষমতা ও প্রভাব দেখিয়ে নদী দখল করে চলছে। যার কারনে বড় ফেনী এখন বড় খাল। এভাবে দখল অব্যাহত থাকলে বড় ফেনী নদী নালায় পরিনত হবে।
এ ব্যাপারে ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্যাহ জানান, নদীর তীরে সবগুলো আমার ক্রয় ও পৌত্রিক ভুমি। আমি নদী দখল কেন করবো। নদী দখল করে মাছ চাষ করছে মিরসরাই উপজেলার প্রভাবশালীরা।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, নদী দখল হচ্ছে কিন্তু আমরা প্রভাবশালীদের কাছে অসহায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ