মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো’র নিজেকে দেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষণার সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে রায় দিয়েছে আদালত। শুক্রবার ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দেন। এতে বলা হয়, গুইদো’র প্রেসিডেন্সি দাবি অবৈধ ও অকার্যকর। বিচারক জুয়ান মেনডোজা এক বিবৃতিতে বলেন, গুইদো’র অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দেশের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় তিনি অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করছেন। ইতোমধ্যেই গুইদো’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভেনেজুয়েলার আদালত। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়েছে। এদিকে ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো’কে সত্যিকার অর্থে দেশটির ক্ষমতায় বসাতে তৎপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। তবে নিজ দেশের শক্তিশালী সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত মাদুরোর পক্ষে রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, মেক্সিকো, কিউবার মতো দেশগুলোর সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, ভেনিজুয়েলা সংকট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বাধীন সরকার ও বিরোধী গুইদোর অনুসারীদের মধ্যে দ্ব›দ্ব অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে বিরোধীদের যোগসাজশে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে ত্রাণ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর সমালোচক মাদুরোর সরকার ভেতর থেকে সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে। অপর প্রান্তে কড়া নিরাপত্তার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী বহনকারী ট্রাক কলম্বিয়া-ভেনেজুয়েলা সীমান্তে আটকে আছে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভেনিজুয়েলার সরকার দেশে মার্কিন ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ। এ সপ্তাহের শুরুতে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মাদুরো বলেন, আমরা ভিক্ষুক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সহায়তার প্রস্তাবকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে তিনি তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। মার্কিন ত্রাণের ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই সীমান্তবর্তী তিয়েন্দিতাস আন্তর্জাতিক সেতুর কাছে জড়ো হয়েছেন মাদুরো বিরোধীরা। যুক্তরাষ্ট্র ত্রাণ পাঠানোয় উচ্ছাস প্রকাশ করেন তারা। এ সময় তাদের মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দেখা যায়। এদিকে, কীভাবে মার্কিন ত্রাণ ভেনিজুয়েলার ভেতরে নেয়া যায় সে পরিকল্পনা করতে গুইদোর অনুসারীরা সীমান্তবর্তী কলম্বিয়ান শহর কাকুটায় জড়ো হয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মাদুরো সরকারের নিয়ন্ত্রণ কতটুকু, এই পরিস্থিতিতে তা ভালোভাবেই যাচাই হয়ে যাবে। ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট গুইদো এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন। তবে কোন দেশ এখনো তার এই আহ্বানে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ গুইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিপরীতে মাদুরোর পক্ষ নিয়েছে চীন, রাশিয়া ও তুরস্ক। এই দেশগুলোর দাবি, ভেনিজুয়েলায় ত্রাণ পাঠানোর মতো কোনো মানবিক সংকটই তৈরি হয়নি। অপর এক খবরে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করতে দেশটির সেনা সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এখনও পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক সেনাসদস্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে মার্কিন প্রচেষ্টার ফলাফল নিশ্চিত নয়। গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। গুইডো অল্প কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তার সমর্থন পেতে সমর্থ হয়েছেন। তবে সেনা নেতৃত্ব এখনও মাদুরোর সঙ্গে আছে। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা সেনাবাহিনীর সদস্যরা ক্রমাগত মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বিশ্বাস এগুলো হলো পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর খসে পড়া দেখতে শুরুর আগে ছোট ছোট নুড়ি খসে পড়া। তিনি বলেন, সাবেক মাদুরো সরকারের সদস্যদের সঙ্গে আমরা এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব সীমিত পরিসরে হলেও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আলোচনার বিষয়বস্তু বা কোন পর্যায়ে আলোচনা চলছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওই কর্মকর্তা। আনাদোলু, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।