Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সেক্যুলার শিক্ষা আইন হিন্দুত্ববাদ-নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচি বাতিলে বাধ্য করা হবে -সমমনা ছাত্র ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণিত জাতীয় শিক্ষানীতি-১০ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জাতিকে ধর্মহীনতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বিতর্কিত এ শিক্ষানীতির মাধ্যমে একদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যেমন ধর্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ও ইসলামের গভীর জ্ঞান অর্জন এবং বিশেষজ্ঞ আলেম হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার শিক্ষা আইন-১৬ বাস্তবায়িত হলে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক ভারসাম্য বলতে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। বেহায়াপনা ও অপরাধপ্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দিয়ে শিক্ষার মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে না। তাই অবিলম্বে ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও সেক্যুলার শিক্ষা আইন ও হিন্দুত্বাবাদ ও নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচী বাতিল করে ইসলামী স্কলারদের সমন্বয়ে সিলেবাস তৈরী করে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে পুরানা পল্টনস্থ মজলিস মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ধর্মহীন শিক্ষানীতি-১০ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তি ও সেক্যুলার শিক্ষা আইন-১৬ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সমমনা ইসলামী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মত বিনিময় সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি নাসির উদ্দীন, ইশা ছাত্র আন্দোলন সেক্রেটারী মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি মারুফ, বাংলাদেশ তালাবায়ে আরাবিয়া সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদির, ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, সেক্রেটারী নুরুজ্জামান, ইসলামী ছাত্র খেলাফতের সেক্রেটারী মুহাম্মদ আবুল কাসেম, ছাত্র তালামিজের বায়তুলমাল সম্পাদক রেজওয়ান আহমদ চৌধুরী, ছাত্র মজলিসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতী নুর মোহাম্মদ আজিজীসহ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান সানী, আশরাফুল আলম নাজিম, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, আহমদুল হক, কাউছার আহমদ, সাইদুল ইসলাম, আমির জিহাদী, আতিকুর রহমান,মুসলিম মাহমুদ, আতাউল্লাহ, উবায়দুর রহমান, শামছুল ইসলাম, শামীমুজ্জামান, জোবায়ের খান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
জাতীয় শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা-চেতনা, ধর্ম ইসলাম ও মুসলমানদের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ইত্যাদি বাদ দিয়ে নাস্তিক ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভাবধারা সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা সংযুক্ত করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েথ উদ্দিন। তিনি বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচীতে নাস্তিক্যবাদী লেখা সংযুক্ত করে ঈমানদার জনতার অন্তরে চরম আঘাত করা হয়েছে। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর দনিয়াস্থ ফকিরবানু কমিউনিটি সেন্টারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কদমতলী থানার দনিয়া ইউনিয়ন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলহাজ ওসমান গণী নবীর সভাপতিত্বে এবং মু. আজিজুল হক-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম, হাজী ঈসমাইল হোসেন, হাজী মোঃ শাহআলম, মোঃ সুলতান আহমদ, হাজী আকতার হোসেন, হাজী আবুল কালাম আজাদ। থানা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে হাজী ওসমান গণী নবীকে সভাপতি, মুহাম্মদ আজিজুল হক আজিজকে সেক্রেটারী করে দনিয়া ইউনিয়ন শাখা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। সম্মেলনে সুরেরতরী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস থেকে ইসলাম ও মুসলিম ভাবধারার সাহিত্য-প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ইত্যাদি বাদ দিয়ে একটি সংখ্যালঘু ধর্মের ভাবধারার লেখা সিলেবাসভুক্ত করা এদেশের মুসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। অনতিবিলম্বে শিক্ষা সংস্কৃতির অনৈসলামিকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ ও পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী ভাবধারা ফিরিয়ে না আনলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। খেলাফত মজলিসের নির্বাহী বৈঠকে এ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
সম্প্রতি বিজয়নগরস্থ মজলিস মিলনায়তনে সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমত আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ শফিক উদ্দিন, অধ্যাপক এ কে জামান, শেখ গোলাম আসগর, মোহাম্মদ শফিউল আলম, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল হালিম, মাওলানা নোমান মাযহারী, এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অ্যধাপক কে এম আলম, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ