পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যে দেশে সেখানে ধর্মহীন শিক্ষানীতি পাঠ্যসূচি থেকে মুসলিম ভাবধারা বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস কুফরী সিলেবাস এবং শিক্ষা আইন সেক্যুলার আইন। এরূপ শিক্ষানীতি সিলেবাস ও শিক্ষা আইন বাংলাদেশে চলতে পারে না। কুফরী শিক্ষা ব্যবস্থা বরদাশত করা যায় না। তাই চিহ্নিত মহলের হাত থেকে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করা অতীব জরুরি। সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব গভীর চক্রান্ত রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। গতকাল পৃথক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন ও মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ পৃথক সভা ও বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ছাত্র ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে ইসলামের আলোয় আলোকিত হতে হবে। ইসলামই পারে মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করতে। তিনি বলেন, জাতি যখন আদর্শচ্যুত হয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত ঠিক তখন আমাদের দেশের জাতীয় শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা-চেতনা, ধর্ম ইসলাম ও মুসলমানদের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ইত্যাদি বাদ দিয়ে নাস্তিক ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভাবধারা সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা সংযুক্ত করে ছাত্র-ছাত্রী ও যুবসমাজকে চরিত্রহীন ও মেধাহীন জাতিতে পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে নাস্তিক্যবাদী লেখা সংযুক্ত করে ঈমানদার জনতার অন্তরে চরম আঘাত করা হয়েছে। এভাবে একটি মুসলিম দেশ চলতে পারে না। তিনি দেশের সর্বস্তরের ঈমানদার জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসকল ইসলামবিরোধী কর্মকা- রুখে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় নেতৃৃবৃন্দ
নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতিকে রুখে দাড়াতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, আমাদেরকে ধর্মহীন জাতিতে পরিণত করতে ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দেশ চালানো হচ্ছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুরাদনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় ইস্টার্ণ টাওয়ার মিলনায়তনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। থানা সভাপতি হাফেজ সুলাইমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাস্টার মফিজুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মানসুর আহমদ, ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মেম্বারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কর্মশালায় সর্বশেষ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা হয়।
মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, পাঠ্য পুস্তুকে ইসলামের শ্বাতশত সুন্দর জীবনকে হেয় প্রতিপন্ন আর বিজাতীয় অনুভূতি কে কৌশলে লালনের ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন,বর্ণচোরা এ সব বিকৃত মানসিকতার হাত থেকে দেশের তাহজীব তমুদ্দুন রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের ঈমানী দায়িত্ব। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করে চিহ্নিত মহলের হাত থেকে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে জরুরি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানান।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব আবদুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দলীয় মহা-সচিব কাজী আবুল খায়ের, আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন অতিঃ মহাসচিব আলহাজ হাসান সালাম সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই ইসলাম মিলন, প্রচার সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, দপ্তর সম্পাদক শেখ আশফাকুজ্জামান, মহিলা মুসলিম লীগের সভানেত্রী ডা. হাজেরা বেগম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।