মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানে একটি অফশোর গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণের জন্য ইসলামাবাদের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের সমঝোতা স্মারক সই করেছে রাশিয়ার এনার্জি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম। গ্যাজপ্রম ব্যবস্থাপনা কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ভিতালি মারকেলভের পাকিস্তান সফরকালে বৃহস্পতিবার এই এমওইউ সই হয়। পাকিস্তানের পক্ষে এতে সই করেন ইন্টারস্টেট গ্যাস সিস্টেম লি-এর মহাপরিচালক মোবিন সাউলাত।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ান ফেডারেশন ও পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যে চুক্তি হয় বৃহস্পতিবারের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ছিলো তারই ধারাবাহিকতা। এখন মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় গ্যাস পরিবহনের জন্য যৌথ সমীক্ষা চালানো হবে।
প্রাথমিকভাবে এই ১০ বিলিয়ন ডলারের অফশোর গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা জরিপ করবে গ্যাজপ্রম। এরপর পাইপলাইনের সহায়ক অন্যান্য প্রকল্প যেমন, আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রাস স্টোরেজ, ডিস্যালাইনেশন, ইত্যাদি প্রকল্পের ব্যাপারে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করা হবে।
বৈশ্বিক কোম্পানি গ্যাজপ্রম মূলত জ্বালানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিষ্ঠানটি গ্যাসের জিওলজিক্যাল অনুসন্ধান, উৎপাদন, পরিবহন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরন এবং গ্যাস, গ্যাস কনডেনসেট ও তেল বিক্রি করে। পাশাপাশি জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজও করে থাকে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসের সঞ্চয় রয়েছে গ্যাজপ্রমের অধিকারে। বৈশ্বিক ও রাশিয়ার গ্যাস রিজার্ভে এই কোম্পানির অংশ যথাক্রমে ১৭ ও ৭২ শতাংশ। বিশ্বের ১২ শতাংশ ও রাশিয়ার ৬৮ শতাংশ গ্যাস এই কোম্পানি উত্তোলন করে। বর্তমানে কোম্পানিটি ইয়ামল পেনিনসুলা, আর্কটিক সেলফ, সাইবেরিয়ার পূর্বাঞ্চল ও রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি বিদেশে এর অনেকগুলো হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান ও উৎপাদন প্রকল্প রয়েছে। গ্যাজপ্রম রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) উৎপাদক ও রফতানিকারক।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্টেট গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড কাজ করছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পেট্রোলিয়াম বিভাগের আওতায়। প্রতিষ্ঠানটি গ্যাস খাতের কৌশলগত অবকাঠামোগুলো বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাশিয়ার উৎস থেকে পাকিস্তান প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন থেকে এক বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করবে। তিন থেকে চার বছরের মধ্যে পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাহরাইন, কাতার ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে রাশিয়ার বহুসংখ্যক গ্যাস মজুত রয়েছে। গোয়াদার বন্দরের পাশ দিয়ে যাওয়া এই পাইপলাইনের মাধ্যমে পাকিস্তান ও ভারতে গ্যাস রফতানির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া।
মারকেলভের নেতৃত্বে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলটি পেট্রোলিয়াম বিভাগের মন্ত্রী গোলাম সারওয়ার খান ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গেও বৈঠক করেছে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।