নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোন ম্যাচ কখনই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। কন্ডিশন বিরূপ, মানিয়ে নিতেই লাগে সময়। অথচ এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিপিএলের মাঠ থেকে সোজা উড়ে গিয়েই খেলতে নামছেন সেই কন্ডিশনে। প্রস্তুতির ঘাটতি তাই থাকছে, আর সেকারণে কাউকে বেশি আশা দিচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে ১০ ফেব্রুয়ারি আছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। সিরিজ খেলতে ওয়ানডে স্কোয়াডের আটজন গত মঙ্গলবার উড়াল দিয়েছেন সে দেশে। তবে বিপিএল শেষ না হওয়ায় বাকিরা এখনো যেতে পারেননি। ৯ তারিখ রওয়ানা হয়ে তারা পৌঁছবেন ১০ তারিখ রাতে। ততক্ষণে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ।
অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশই দাঁড় করানো কঠিন। বিকল্প সমাধান হিসেবে বিসিবি চিন্তা করছে, টেস্ট খেলা দু-তিনজনকে দ্রুত নিউজিল্যান্ড পাঠানো যায় কি না। যদি সেটি হয়, নিউজিল্যান্ডে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ কোনোভাবে খেলা হবে। কিন্তু পরে যাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে মাত্র দুই দিনের প্রস্তুতি নিয়েই ১৩ ফেব্রুয়ারি নেমে পড়তে হবে নেপিয়ারে, প্রথম ওয়ানডে খেলতে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাহিদা মতো সিডনিতে দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প, ৮-১০ দিন আগে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়া- প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি না থাকার পরও কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ এক প্রকার বিধ্বস্ত হয়েছিল প্রতিটি সংস্করণেই। এবার প্রস্তুতি ছাড়া যাওয়া হচ্ছে, কী হবে, সেই শঙ্কা থাকছেই।
অর্থাৎ প্রস্তুতি ম্যাচে একাদশ গড়ার মতো খেলোয়াড়ও পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় প্রত্যাশার মাত্রা বাড়ানো কঠিনই বটে। অধিনায়কের কণ্ঠের থাকল সেই আক্ষেপ, ‘নিউজিল্যান্ডে তাই ঠিকঠাক প্রস্তুতিটা নেওয়া যাচ্ছে না আসলে। কিছুই করার নেই। যেহেতু ১০ তারিখ রাতে গিয়ে আমরা পৌঁছব। চেষ্টা করব দুইদিনে যতটা মানিয়ে নেওয়া যায়। যদিও এটা একদমই আদর্শ না। বাংলাদেশে না হয় একটা কথা ছিল।’
তার আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের একাদশ দাঁড় করাতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাহায্য চেয়েছেন মাশরাফি, ‘আমাদের আসলে টিকেট যাদের যাদের পাওয়া যাচ্ছে, বাংলাদেশ বিমান বা যেভাবে হোক তাদের চলে যেতে হচ্ছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে যতজন আগে যাওয়া যায়। ১৫ জনের স্কোয়াডে ৪-৫ জন হয়ত ফাইনাল খেলবে। ওখান থেকে কাউকে নিয়ে অন্তত খেলা যায় কিনা। আমাদের কিছু সাহায্য নেওয়া যায় কিনা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে। যারা আছে তারা যেন অনুশীলন ম্যাচটা ঠিকমতো খেলতে পারে।’
গতকালই উড়ে গেছেন ওয়ানডে স্কোয়াডের পেসার শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ মিঠুন। তাদের সঙ্গে টেস্ট দলের দুই সদস্য সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হককেও পাঠিয়েছে বিসিবি। এমন পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজ নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়াতে নিরুৎসাহিত করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘বেশি আশা কাউকে দিব না। আমি ইতিবাচক অবশ্যই। তবে পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলব।’
গেল বছর অনেক প্রস্তুতি নিয়েও বাংলাদেশ কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে একটা ওয়ানডেতে তৈরি করেছিল জেতার পরিস্থিতি। এবার তা থেকেই সাহস খুঁজছেন অধিনায়ক, ‘সম্ভাবনা তো আছেই। গেল বছর ওদের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলাম, বোধহয় ২৫১ রানে আটকে দিয়ে সাব্বির আর ইমরুল ১০০ রানের একটা জুটি করেছিল। তারপর ইনিংস ধসে পড়ে। খুব ভালো সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেছি। আশা করি এই ধরনের সুযোগ যদি পাই যেন মিস না করি। কঠিন অনেক কঠিন।’
সেবার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে পারেননি। এবার প্রস্তুতি ম্যাচের আগে একাদশ গড়া নিয়ে যেখানে সংকট সেবার বহর ছিল অনেক বড়সড়ো। তবু ফল আসেনি নিজেদের পক্ষে, ‘প্রস্তুতি নিয়ে যেয়ে পারিনি, সেবার ৩০ জন খেলোয়াড় গিয়েছিলাম ওখানে। এবার প্রস্তুতি ছাড়া যদি পারি তবে পরেরবার থেকে প্রস্তুতি ছাড়া যাওয়াই ভালো (হাসি)।’
সিরিজের ফল হয়ত পক্ষে নাও আসতে পারে। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই সিরিজ যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভেল্যু যুক্ত করতে না নিয়ে নিঃসংশয় বাংলাদেশ কাপ্তান, ‘তবে বিশ্বকাপের জন্য এটা খুব ভালো প্রস্তুতি। এই কন্ডিশন খুব আদর্শ অবশ্যই। বিশ্বকাপের জন্য একটা বেস তৈরি করতে হবে। এখন যেহেতু বিপিএল ছিল কিছু করার নেই। সবাইকে মানিয়ে নিতে হবে। খারাপ হলে সবাই খারাপ বলবে, ভালো হলে ভালো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।