Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তরুণদের উগ্রপন্থা থেকে শান্তির পথে ফেরাতে মিশরের কায়রোয় ইসলামি সম্মেলন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৫৪ পিএম

মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী একটি ইসলামিক সম্মেলনে বিশ্বের ৭৩টি দেশ থেকে আসা প্রধান মুফতিগণ ও বিভিন্ন ইসলামিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

কায়রোয় অনুষ্ঠিত ইসলামি সম্মেলনটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া উগ্রপন্থার মোকাবেলা এবং মুসলিম তরুণ জনগোষ্ঠীকে তাদের বিশ্বাসের শান্তিপূর্ণ প্রদর্শনের জন্য ধর্মীয় ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে এর সমাধান খুঁজে বের করা।

চতুর্থবারের মত আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইসলামি ‘ফতোয়া’ নিয়ে আলোচনা করা, একই সাথে ইসলামি নেতৃবৃন্দ আরো কতগুলো আধুনিক বিষয় নিয়ে ইসলামের আলোকে আলোচনা করেছেন যার মধ্যে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন, স্টেম সেল(মানব শরীরের এমন কিছু কোষ যেগুলো আপনা আপনি নিজেদের পুনরায় তৈরি করতে পারে) এবং বিবাহ বিচ্ছেদের মত বিষয়ে ইসলামের বিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।


মিশরের প্রধান মুফতি শাউকি আলামের উপদেষ্টা ইব্রাহিম নেজাম বলেন, ‘এই সামিটে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘ফতোয়া’ সম্পর্কে একটি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো এবং একই সাথে উগ্রপন্থীদের দেয়া ‘ফতোয়া’ সমূহের বৈধতা যাচাই করা।’

‘ফতোয়া’ ইসলামের এমন একটি বিষয় যা বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে উত্তরাধিকার এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মুসলিম বিশেষজ্ঞদের দেয়া মতামত যা একই সাথে মুসলিমদের জীবন যাত্রায় ইসলামি দিকনির্দেশনা দেয় এবং এই আধুনিক যুগে আধ্যাত্মিক জীবনের সন্ধান দেয়।

ইব্রাহিম নেজাম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিম ঐতিহ্য সমূহের পুনঃতলব করা যা শত বছর পূর্বে ইসলামি বইসমূহে লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমরা সমসাময়িক বাস্তবতার আলোকে যেইসব আবার অধ্যয়ন করতে চাই। আমাদের বসবাস ২১শতকে, আমরা বর্তমানে একটি বৈশ্বিক গ্রামে বাস করি এবং ‘ফতোয়া’ কিভাবে ইস্যু হবে তা এর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়।’

কায়রোর ইসলামি সম্মেলনে একই সাথে নারী অধিকার এবং হিজাব বা নিকাবের ব্যবহার সম্পর্কেও আলোচনা হয়। ‘নিকাব’ এমন একটি শব্দ যার মাধ্যমে একজন মুসলিম নারীর মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর ঢেকে যায়।

ইব্রাহিম নেজাম বলেন, ‘আমরা মূল বিষয়ের উপর গুরত্বারোপ করি। বিভিন্ন মুসলিম দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পোশাক পরিধান করা হয় আর এ বিষয়টিকে উহ্য রাখি। সুতরাং আপনি দেখবেন আরব দেশ সমূহের মুসলিম গণ একভাবে পোশাক পরিধান করে আর অন্যদিকে মিশরের মানুষ অন্যভাবে করে, একই কথা তুরস্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একই ভাবে ইউরোপের নারী এবং পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পোশাক পরিধান করে। আর এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য এবং প্রথা অনুযায়ী হয়ে থাকে।’

শেষে ইব্রাহিম নেজাম ঘোষণা দেন যে, ‘ধর্মীয় নের্তৃবৃন্দের সহায়তায় একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হবে যা তরুণ মুসলিমদের কাছে পৌঁছে যাবে এবং তারা সেখানে বিভিন্ন ভাষায় যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে।’

সূত্র: গ্রেটারকাশমির ডট কম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ