গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মাওলানা এম এ মান্নান ছিলেন এক জীবন্ত ইতিহাস। তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক এবং নেতৃত্ব ও সেবার প্রেরণা। তিনি ছিলেন সদালাপী, বন্ধু বৎসল্য, অতিথিপরায়ণ। উদার ও অমায়িক এ মানুষটির সান্নিধ্যে এসে যে কেহই মুগ্ধ না হয়ে পারতেন না। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)-এর ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মিলনায়তনে আয়োজিত ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের সভাপতি এবং দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের অসংখ্য স্কুল কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম. এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। তিনি বলেন, আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় পথিকৃত ছিলেন মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, দৈনিক ইনকিলাব ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্স যুগযুগ ধরে ইসলাম, ওলামা-মাশায়েখ এবং গণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক ও জমিয়াত সিনিয়ার সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)-এর বদান্যতা ও উদারহস্তের অবারিত দানে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। আত্মপ্রত্যয়ী, নির্ভীক, অধ্যাবশায়ী, প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর অক্লান্ত কর্মী পুরুষ মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) এক জীবন্ত ইতিহাস। দেশে-বিদেশে বহু সংবর্ধনা ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশের সাথে মরহুমের ছিল আন্তরিক সম্পর্ক।
জমিয়াত কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) ছিলেন বহু প্রতিভার অধিকারী ক্ষনজন্মা একজন বড় মাপের আলেম। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে চিন্তাকরলে তিনি ছিলেন একজন উঁচু মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর আচার-আচরণ ছিল সুন্নতে রাসুল (সঃ) এ ভরপুর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল বড় বড় দরবার, খানকা, পীর-মাশায়েখ এবং ইসলামি রাজনৈতিক অঙ্গনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে হুজুরের সম্পর্ক ছিল গভীর। সকলেই হুজুরকে আপন মনে করতেন। জাতীয় জীবনে অনেক সংকটে তিনি ইসলামী নেতৃবৃদ এবং ওলামা-মাশায়েখগণকে যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবন সংগ্রামের অধিকারী একজন সফল মানুষ। জাতী, ধর্ম, দেশ ও সমাজের জন্য তিনি আজীবন কর্তব্য পালন করে গেছেন। এদেশের সচেতন সমাজ মরহুমকে কখনই ভুলবে না। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) শিক্ষা উন্নয়ন এবং শিক্ষক সমাজকে প্রতিষ্ঠা করাসহ সাহিত্য সাংবাদিকতায় পথ রচনা করে গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাব, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের তিন দশকের অবদান জাতীকে সমৃদ্ধ করে যাবে নিরন্তন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ঈসালে সওয়াব মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব মাওলানা ফারুক, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, প্রিন্সিপ্যাল ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল-মারুফ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মোঃ এজহারুল হক, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু ইউসুফ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছাদেক হাসান, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা তাজুল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আবু জাফর মোঃ হেলাল উদ্দীন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আতিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা রেজাউল হক, আলহাজ্ব ড. নাসির উদ্দীন, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা গোলাম মাওলানা প্রমুখ।
আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, জমিয়াত সিনিয়ার সহ-সভাপতি ও নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব আলহাজ্ব মাওলানা রূহুল আমীন খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।