গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
‘অলৌকিক শক্তির অধিকারী হওয়ার’ আশায় রাজধানীর পোস্তগোলা শ্মশানে এক বীভৎস কাণ্ড ঘটিয়েছে পাঁচ কিশোর। তবে জনতার সহায়তায় পুলিশের হাতে ধৃত হয়ে এখন তাদের ঠাঁই হয়েছে থানায়।
শ্যামপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোস্তগোলা শ্মশানে মাটিচাপা দেয়া মৃত একটি শিশুকে তুলে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে হিন্দুধর্ম মতে আরাধনা শুরু করে ওই পাঁচ কিশোর।
ওই সময় শ্মশানে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এবং সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরত কর্মচারীরা তা দেখে ওই কিশোরদের ঘিরে ফেলে থানায় খবর দেন। এলাকার মানুষও জড়ো হয়ে যায়।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত ওই কিশোররা বলেছে, তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হওয়ার আশায় এই কাণ্ড করেছে।
শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ীর নবজাতক সন্তান সোমবার মারা গেলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শ্যামপুর শ্মশান ঘাটে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল। এরপর রাত রাত ২টার দিকে ওই পাঁচ কিশোর শ্মশানে গিয়ে নবজাতকের লাশ তুলে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর ছিন্ন মাথাটি ঘিরে তারা আরাধনা শুরু করে।’
তিনি আরো জানান, ওই সময় শ্মশানে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এবং সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরত কর্মচারীরা তা দেখে ওই কিশোরদের ঘিরে ফেলে থানায় খবর দেন। এলাকার মানুষও জড়ো হয়ে যায়।
এরপর পুলিশ গিয়ে ওই শিশুটিকে আবার সমাহিত করে। ওই পাঁচ কিশোরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি আরো বলেন, ‘ওই কিশোররা বলেছে, তারা শুনেছে এ কাজ করলে তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হবে।’
এই কিশোরদের বসবাস ওই এলাকায়ই জানিয়ে তিনি বলেন, এদের সবার বাবা ডোম।
এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার কিশোরদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।