মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে আবারো উত্তেজনা বাড়ছে। বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে এই উত্তেজনা বাড়ার কারণ বিতর্কিত ওই সাগরে গত বুধবার ঢুকে পড়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রণতরী। আর সেই রণতরীকে তাড়াতে পাল্টা ধাওয়া করেছে চীনের বোমারু বিমান। যদিও চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুধু মার্কিন রণতরীকে নিজের এখতিয়ার বুঝিয়ে দিতেই ওই বোমারু বিমান পাঠানো হয়েছে। এর আগেও বিতর্কিত ওই অঞ্চলের আকাশে টহলরত একটি মার্কিন যুদ্ধবিমানের খুব কাছ দিয়ে চীনা বিমান উড়ে যায়। এর মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে একটি মার্কিন বিমানের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয় চীনা যুদ্ধবিমান। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র বিল উরবান দাবি করেন, ওই এলাকার সমুদ্রসীমায় চীনের বাড়তি দাবি চ্যালেঞ্জ করতেই মার্কিন নৌবহর অভিযানে নেমেছে। আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে আগামী দিনে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়ার শঙ্কা করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা। এমনকি এই বিষয়ে দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে না যুদ্ধ লেগে যায়, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না পর্যবেক্ষকদের একাংশ। বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত মঙ্গলবার সকালের দিকে ফেয়ারি ক্রস রিফ দিয়ে মার্কিন মিসাইলবাহী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস উইলিয়াম পি লরেন্স যাওয়ার সময় চীন দু’টি যুদ্ধবিমান পাঠায়। সেই সময় ডেস্ট্রয়ারটি দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ছিল। ফেয়ারি ক্রস রিফ স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত। অবশ্য একে চীন নানশা দ্বীপপুঞ্জ বলে থাকে। বিমান দিয়ে ধাওয়া করার পরও বেইজিং প্রশাসন মার্কিন যুদ্ধজাহাজের এই এলাকায় টহল দেয়ার জোর সমালোচনা করেছে। যুদ্ধজাহাজটি চীনের সমুদ্রসীমায় অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের এমন উসকানিকে চীনের জন্য হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ এলাকাকে নিজের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। আবার তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ আরো অনেক দেশ চীন সাগরের ওপর নিজেদের মালিকানা দাবি করে। যা নিয়ে প্রতি মুহূর্তে ওই অংশে উত্তেজনা বিরাজ করে। এর মধ্যে আবার চীনের বিরোধী দেশগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে পেন্টাগন। যা নিয়ে বারবার বেইজিংয়ের সঙ্গে বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।