পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে ঐতিহাসিক টংগী ময়দানে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত একটানা চার দিন বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তাবলিগের বিবদমান দু’পক্ষ দুদিন করে চার দিন বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে। দিল্লীর মাওলানা সা’দ ইজতেমায় আসবেন না। প্রধানমন্ত্রীর দিকনিদের্শনায় এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গতকাল বিকেলে তাবলিগের দু’গ্রুপের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাদ মাগরিব এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী তার দপ্তরে এতথ্য জানান।
ব্রিফিং এর পূর্বে বিকেল ৪ টায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে দাওয়াতে তাবলীগের কার্যক্রম সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলরূপে পরিচালনা এবং বিশ্ব ইজতেমার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরামর্শ সভায় উপস্থিত তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুসারে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমার ১ম ২ দিন অর্থাৎ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ও ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার তারিখে তাবলীগের মুরব্বী মাওলানা মো. যুবায়ের প্রিন্সিপাল ও আহলে শুরা, মাদরাসা উলুম-ই-দ্বীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ কাকরাইল, ঢাকা-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং পরবর্তী ২ দিন অর্থাৎ ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখের ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালিত হবে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, আহলে শুরা তাবলীগ জামাত, কাকরাইল মারকাজ মসজিদ ঢাকা এর তত্ত্বাবধানে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দাওয়াতে তাবলীগের মুরব্বী প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. যুবায়ের , মাওলানা ওমর ফারুক, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব মো: আনিছুর রহমান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) আবু বকর ছিদ্দীক ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেউ কারও বিরুদ্ধে উস্কানি/নিন্দামূলক কোন বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান করবেন না। দাওয়াতে তাবলীগের ঐতিহ্য অনুসরণ করে ইসলামের খেদমতে সকলে মিলে কাজ করবেন। তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের সকল পর্যায়ে মসজিদ- গ্রাম , মহল্লায় তাবলিগের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনায় দাওয়াতে তাবলিগের অনুসারীদের সকল প্রকার বিরোধ, সংঘাত ও গোলযোগ পরিহারের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে কোনো প্রকার বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে এবার বিশ্ব ইজতেমা পালিত হবে। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুুতি নেয়া হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটি বিশ্ব ইজতেমা, এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশী মেহমানগণ ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করবেন, এ বিষয়ে সরকার সকল ধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুসারে সকলের সহযোগিতায় এ বছর আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও সৃশৃঙ্খলভাবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি দাওয়াতে তাবলীগের সকল পর্যায়ের সাথীবৃন্দ, দেশবাসী, মিডিয়াসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।