Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বৈদিক যুগে গরুর গোশত খাওয়ার প্রচলন ছিল’

প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের অন্যতম স্বনামধন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গোদরেজ গ্রুপের চেয়ারম্যান আদি গোদরেজ বলেছেন, বৈদিক ভারতে গরুর গোশত খাওয়ার প্রচলন ছিল। ভারতে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষিতে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হিন্দুরা গরুর গোশত খেলে তাতে কোন দোষ হয় না, ধর্মে এমন কিছু নেই। গোদরেজের মতে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করায় কৃষি ও ব্যবসার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, বাড়তি গরুগুলো দিয়ে কী করা হবে? যা অনেকের জন্যই আয়ের উৎস হতে পারতো। ফলে এই নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য নেতিবাচক। ভারতের গরুর ব্যবসা মূলত সংখ্যালঘু মুসলিমদের হাতেই। ফলে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করায় মুসলিম, খ্রিস্টান ও নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ওপর চাপ পড়ছে। এদের কাছে ে প্রাটিনের উৎস হিসেবে গরুর গোশতের চাহিদা রয়েছে।
গোদরেজ বলেন, আমাদের ধর্মে কোথাও গরুর গোশত খাওয়ার বিষয়ে কোন নিষেধ নেই। কোন এক সময়ে খরার কারণে বিজ্ঞজনেরা বলেছিলেন, গরু জবাই না করে শিশুখাদ্যের উৎস হিসেবে রেখে দিতে। সেখান থেকেই এটা ধর্মের নিয়ম হয়ে গিয়েছে যা পুরোপুরি অযৌক্তিক। বৈদিক ভারতে গরু খাওয়ার চর্চা ছিল। প্রসঙ্গত, গত বছর ভারতের মহারাষ্ট্রে ২০ বছর স্থগিত থাকার পর পশু সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল পাস হয় যাতে গরু জবাই ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। পরবর্তীতে বোম্বে আদালতের নির্দেশে গরু খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও গরু জবাই করার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। অন্য রাজ্য থেকে আনা গরুর গোশত রেস্টুরেন্টে বিক্রি করার ক্ষেত্রেও আইনি বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হয়। হাফিংটন পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘বৈদিক যুগে গরুর গোশত খাওয়ার প্রচলন ছিল’
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ