পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এগিয়ে চলেছে মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ। রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পিলার নির্মাণ প্রায় শেষ। এরই মধ্যে এক কিলোমিটারেরও বেশি কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে উত্তরার দিয়াবাড়িতে। এই কাঠামোর উপর বসানো হবে রেললাইন। যানজট নিরসনে বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর একটি মেট্রোরেল প্রকল্প। রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট’ বা সংক্ষেপে এমআরটি’র কাজ এগিয়ে চলেঠে। এটি পুরো শহরের ট্রাফিক সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনবে। সে লক্ষ্য নিয়েই পুরোদমে চলছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। এদিকে, মেট্রোরেলের বগির নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। নকশা অনুযায়ী বগি নির্মাণ হচ্ছে জাপানে। এ বছরের মাঝামাঝি এসব বগি দেশে আনা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে রেললাইন বসানো হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই অংশটি চালু হতে পারে। সে হিসাবে এ বছরই রাজধানীবাসী চড়তে পারবেন মেট্রো রেলে।
জানা গেছে, গত বছর এপ্রিলে উত্তরার দিয়াবাড়ির এই অংশে প্রথম দৃশ্যমান হয় মেট্রোরেলের প্রথম কাঠামো। দু’টি পিলারের ওপর ওই স্প্যান বসানোর ৮মাস পর তা এখন এক ১ কিলোমিটারেরও বেশি দৃশ্যমান। দিয়াবাড়ির এই অংশে প্রতিদিনই মাথার ওপর দিয়ে একটু একটু করে বাড়ছে মেট্রোরেলের পথ। একটি স্থানে ১৮টি পিলার যুক্ত করে তার ওপর স্প্যান বসানো হয়েছে। এই এলাকায় এমন তিনটি অংশে এখন মেট্রোরেল দূর থেকেই দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুষ্ঠু বাস্তবায়নের স্বার্থে প্রকল্পটিকে ৮টি কন্ট্রাক্ট প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। প্যাকেজ ১-এর আওতায় ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন, প্যাকেজ ২-এর আওতায় ডিপো এলাকায় সিভিল অ্যান্ড বিল্ডিং ওয়ার্কস, প্যাকেজ ৩-এর অধীনে ডিপো থেকে পল্øবী পর্যন্ত ভায়াডাক্ট অ্যান্ড স্টেশন নির্মাণ, প্যাকেজ ৪-এর অধীনে পল্লবী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশনসমূহ নির্মাণ, প্যাকেজ ৫-এর আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশন নির্মাণ, প্যাকেজ ৬-এর অধীন কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশন নির্মাণ, প্যাকেজ ৭-এর আওতায় মেট্রো সিস্টেমের সব ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল কাজ ও প্যাকেজ ৮-এর অধীন ডিপো ইকুইপমেন্ট এবং ১৪৪টি কোচ সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ট্রেন থাকবে ২৪ সেট। প্রতিসেটে ৬টি কোচ থাকবে।
এদিকে নতুন করে আরও দুটি মেট্রোরেলের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। যার একটি হযরত শাহজালাল (রা.) বিমানবন্দর থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত যাবে। আবার বসুন্ধরার পাশ দিয়ে পূর্বাচলের কাঞ্চন সেতু টার্মিনাল পর্যন্ত আরেকটি লাইন যাবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১০ কিলোমিটার। যা পুরোটাই হবে এলিভেটেড। আর বসুন্ধরার পাশ দিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত যে লাইন যাবে তার ১৬ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল ফরমেটে। অর্থাৎ, রেল চলবে মাটির নিচ দিয়ে।
অন্য লাইনটি হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গুলশান হয়ে নতুনবাজার-ভাটারা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার। এ লাইনটির একাংশ হবে মাটির নিচ দিয়ে।
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটে (এমআরটি লাইন-১) বিমানবন্দর থেকে ৯টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো- খিলক্ষেত, কুড়িল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা গেট, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। আর কুড়িল থেকে পূর্বাচলের দিকে ১০ কিলোমিটার লাইন ওপর দিয়ে এলিভেটেড আকারে যাবে। এর সম্ভাব্য স্টেশনগুলো হলো- বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল, পশ্চিম পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনাল। গত রোববার পূর্বাচল এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে, সেখানে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দর-কমলাপুর মেট্রোরেলের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। মূল সম্ভাব্যতা যাচাই করছে জাপানভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
এদিকে, দিয়াবাড়িতে ৬০ একর জায়গায় মেট্রোরেলের মূল ডিপো নির্মাণে মাটির নিচের কাজ সব শেষ হয়েছে। এখন চলছে এর ওপর অবকাঠামো নির্মাণ। ১০ তলা বিশিষ্ট কন্ট্রোল রুম ভবনসহ আরো কয়েকটি ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। যেখানে রেলের বগি থাকবে সেখানকার কাজও হচ্ছে দ্রুত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী ইনকিলাবকে জানান, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের কাজ হচ্ছে দুই ভাগে। প্রথম অংশ দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রকল্পের ২য় অংশ মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের কাজও এগিয়ে চলছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে সেবা সংস্থাগুলো স্থানান্তরের কাজও শেষ পর্যায়ে। এই অংশ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।