Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এগিয়ে মেট্রো রেলের কাজ কাঠামো দৃশ্যমান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

এগিয়ে চলেছে মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ। রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পিলার নির্মাণ প্রায় শেষ। এরই মধ্যে এক কিলোমিটারেরও বেশি কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে উত্তরার দিয়াবাড়িতে। এই কাঠামোর উপর বসানো হবে রেললাইন। যানজট নিরসনে বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর একটি মেট্রোরেল প্রকল্প। রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে ‘ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট’ বা সংক্ষেপে এমআরটি’র কাজ এগিয়ে চলেঠে। এটি পুরো শহরের ট্রাফিক সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনবে। সে লক্ষ্য নিয়েই পুরোদমে চলছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। এদিকে, মেট্রোরেলের বগির নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। নকশা অনুযায়ী বগি নির্মাণ হচ্ছে জাপানে। এ বছরের মাঝামাঝি এসব বগি দেশে আনা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে রেললাইন বসানো হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই অংশটি চালু হতে পারে। সে হিসাবে এ বছরই রাজধানীবাসী চড়তে পারবেন মেট্রো রেলে।
জানা গেছে, গত বছর এপ্রিলে উত্তরার দিয়াবাড়ির এই অংশে প্রথম দৃশ্যমান হয় মেট্রোরেলের প্রথম কাঠামো। দু’টি পিলারের ওপর ওই স্প্যান বসানোর ৮মাস পর তা এখন এক ১ কিলোমিটারেরও বেশি দৃশ্যমান। দিয়াবাড়ির এই অংশে প্রতিদিনই মাথার ওপর দিয়ে একটু একটু করে বাড়ছে মেট্রোরেলের পথ। একটি স্থানে ১৮টি পিলার যুক্ত করে তার ওপর স্প্যান বসানো হয়েছে। এই এলাকায় এমন তিনটি অংশে এখন মেট্রোরেল দূর থেকেই দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুষ্ঠু বাস্তবায়নের স্বার্থে প্রকল্পটিকে ৮টি কন্ট্রাক্ট প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। প্যাকেজ ১-এর আওতায় ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন, প্যাকেজ ২-এর আওতায় ডিপো এলাকায় সিভিল অ্যান্ড বিল্ডিং ওয়ার্কস, প্যাকেজ ৩-এর অধীনে ডিপো থেকে পল্øবী পর্যন্ত ভায়াডাক্ট অ্যান্ড স্টেশন নির্মাণ, প্যাকেজ ৪-এর অধীনে পল্লবী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশনসমূহ নির্মাণ, প্যাকেজ ৫-এর আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশন নির্মাণ, প্যাকেজ ৬-এর অধীন কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশন নির্মাণ, প্যাকেজ ৭-এর আওতায় মেট্রো সিস্টেমের সব ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল কাজ ও প্যাকেজ ৮-এর অধীন ডিপো ইকুইপমেন্ট এবং ১৪৪টি কোচ সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ট্রেন থাকবে ২৪ সেট। প্রতিসেটে ৬টি কোচ থাকবে।
এদিকে নতুন করে আরও দুটি মেট্রোরেলের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। যার একটি হযরত শাহজালাল (রা.) বিমানবন্দর থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত যাবে। আবার বসুন্ধরার পাশ দিয়ে পূর্বাচলের কাঞ্চন সেতু টার্মিনাল পর্যন্ত আরেকটি লাইন যাবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১০ কিলোমিটার। যা পুরোটাই হবে এলিভেটেড। আর বসুন্ধরার পাশ দিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত যে লাইন যাবে তার ১৬ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল ফরমেটে। অর্থাৎ, রেল চলবে মাটির নিচ দিয়ে।
অন্য লাইনটি হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গুলশান হয়ে নতুনবাজার-ভাটারা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার। এ লাইনটির একাংশ হবে মাটির নিচ দিয়ে।
ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিটে (এমআরটি লাইন-১) বিমানবন্দর থেকে ৯টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো- খিলক্ষেত, কুড়িল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা গেট, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। আর কুড়িল থেকে পূর্বাচলের দিকে ১০ কিলোমিটার লাইন ওপর দিয়ে এলিভেটেড আকারে যাবে। এর সম্ভাব্য স্টেশনগুলো হলো- বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল, পশ্চিম পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনাল। গত রোববার পূর্বাচল এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেছে, সেখানে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দর-কমলাপুর মেট্রোরেলের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। মূল সম্ভাব্যতা যাচাই করছে জাপানভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
এদিকে, দিয়াবাড়িতে ৬০ একর জায়গায় মেট্রোরেলের মূল ডিপো নির্মাণে মাটির নিচের কাজ সব শেষ হয়েছে। এখন চলছে এর ওপর অবকাঠামো নির্মাণ। ১০ তলা বিশিষ্ট কন্ট্রোল রুম ভবনসহ আরো কয়েকটি ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। যেখানে রেলের বগি থাকবে সেখানকার কাজও হচ্ছে দ্রুত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী ইনকিলাবকে জানান, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের কাজ হচ্ছে দুই ভাগে। প্রথম অংশ দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রকল্পের ২য় অংশ মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের কাজও এগিয়ে চলছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে সেবা সংস্থাগুলো স্থানান্তরের কাজও শেষ পর্যায়ে। এই অংশ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।



 

Show all comments
  • Md Mahbubul Alam ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নপূরনের যাদুকর,তাঁর যাদুর কঠির স্পর্শে সকল স্বপ্ন গুলিই বাস্তবে রূপনিচ্ছে,বাংলাদেশ ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের দেশে,কি অবকাঠামো,কি অর্থনীতি,কি শিক্ষা,কি স্বস্হ্য,কি যোগাযোগ, কোন কিছুতেই পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ,নির্বাক বিশ্ব সকলের একটাই প্রশ্ন কি আছে শেখ হাসিনার হাতে,কি করে সম্ভব এই উন্নয়ন উত্তর একটাই যোগ্যতা,জননেত্রী শেখ হাসিনা সততায়,যোগ্যতায়,দক্ষতায়,মেধায় বিশ্বে সবার উপরে,আমরা বিশ্বসেরা এই নেত্রীর দীর্ঘ জীবন কামনা করি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Salaman ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    Thanks for government
    Total Reply(0) Reply
  • Romel Shil ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    চট্টগ্রামকে সাজাতে হলে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে আনতে হলে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার রেল লাইনের বিকল্প নাই তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার দ্রুত বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Kaisar Uzzaman ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
    প্রতি দিন ঢাকা শহরে প্রচুর মানুষ উত্তর অঞ্চল ও দক্ষিণ অঞ্চল হতে প্রবেশ করেন। একদিকে নারায়ণগঞ্জ ও অন্য প্রান্ত গাবতলী। এই দুই প্রান্তে বিভাগ ও জেলা বাস সার্ভিসের জন্য টার্মিনাল করে শহরে বাস প্রবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত। এই পর্যন্ত মেট্রো রেল সার্ভিস করা যেতে পারে। শহরের উপর অনেক চাপ কমবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Yasin Molla ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    প্রিয় রাজনীতিবিদ, আপনারা বলুন চাকুরী করতে গেলে ঘুষ দেওয়া লাগে কেনো
    Total Reply(0) Reply
  • Mustafizur Rahman ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    সোনার বাংলায় রূপান্তর ঘটে চলছে প্রতিনিয়ত। শেখ হাসিনা এক উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিয়ে চলছেন। আপনিও এ সোনার বাংলায় রূপান্তরের যোগ সন্ধিক্ষনে অংশ নিয়ে বা সাপোর্ট দিয়ে ইতিহাসের অংশে পরিনত হন। সর্বপরি আমার আপনার ভবিস্যৎ বংশধর যেন একটি উন্নত দেশে বসবাস করতে পারে তার ব্যাবস্থা আমাদেরই করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwarul Islam ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    এই রকম শত মে‌ট্রোরেল, উড়াল সেতু, পাতাল রেল হ‌লেও ঢাকার মানুষ কোন দিন সেটার সর্বোচ্চ সু‌বিধা পা‌বে না ? কিন্তু কেন ?? উত্তর সহজ------জ্যামটা যে আমা‌দের নি‌জে‌দের সৃষ্ট ওটা আগে মাথায় আন‌তে হ‌বে ?? তারপর কিছু প্রশ্ন ঢাকাবাসী‌কে ***** আমা‌দের সব মন্ত্রণালয় ঢাকায় থাক‌তে হ‌বে কেন? ***** অন্তত প্রাই‌ভেট শিক্ষা প্র‌তিষ্ঠানগু‌লো ঢাকা শহ‌রের ভেতর না হ‌লে কি হয় না ???
    Total Reply(0) Reply
  • Shafiul Azam ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    উন্নয়নের মহাসড়কে চলেছি দুর্বার, এখনও সময় বাংলাদেশকে মাথা উচু করে দাড়াবার ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Tipu Gomosta ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    মাননিও প্রধানমনএিকে সশ্রদ্ধো ছালাম। সাহসি পদখেপ নেওয়ার জন্য। পদ্যা সেতুর কাজ দূত এগিয়ে নেওয়ার জন্য আবারও ছালাম ও কৃতজ্ঞতা প্রকাস করছি
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:০৫ এএম says : 0
    পরিকল্পনা অবশ্যই সুন্দর এবং অর্থবহ। এভাবে পরিকল্পনা করা এবং বাস্তবায়িত করলে অবশ্যই দেশ উন্নত দেশ হতে সময় নিবে না। আল্লাহ বাংলাদেশকে যেভাবে দেখেছিলেন সেইভাবে দেখতে হলে এসব উন্নয়নের সাথে দুর্নীতিও দমন করতেই হবে এটাই মহা সত্য। আল্লাহ্‌ নেত্রী হাসিনাকে দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে এখন দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্যে সকল রকম কার্যক্রম সুসম্পন্ন করতে হবে এর কোন ব্যাতয় নেই। কাজেই দুর্নীতি দমনে যে জিরো টলারেন্স ঘোষনা হয়েছে সেটাই যেন সঠিক ভাবে কার্যকর করা যায় তারই প্রচেষ্টা আমাদের সবাইকেই নিতে হবে। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেল

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ