রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চিকিৎসক ও জনবল সঙ্কটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দৌলতখান উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা। প্রায় তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ২১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত মাত্র ৫ জন। এরমধ্যে ২ জন প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত। এতে হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম দিনে দিনে ভেঙে পড়ছে। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা সেবা না নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি কখনও কখনও বিকল হয়ে পড়ে থাকে গ্যারেজে। ফলে জরুরি ও মুমূর্ষু রোগী আনা-নেওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই। টেকনেশিয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি পড়ে আছে অযত্মে-অবহেলায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন এবং বহির্বিভাগের ১৫০ থেকে ২০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন ২ জন চিকিৎসক। জরুরি বিভাগটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে।
সরেজমিনে, ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে ৯টা। সুনশান হাসপাতালের পরিবেশ। টিকিট কাউন্টার ও চিকিৎসকের কক্ষ তালাবদ্ধ। রোগীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই হাসপাতালে ডাক্তারা দেরিতে আসেন। তাই রোগীরাও দেরি করে আসেন। এছাড়া চিকিৎসা সেবা পেতে দীর্ঘ সময় তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চিকিৎসকের দেখা মিললেও সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন রোগীরা। আন্তঃবিভাগের কয়েকজন রোগী অভিযোগ করে বলেন, বেশিরভাগ ওষুধ বাইর থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালের নার্সদের সেবা নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ।
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকি। মাত্র ২ জন ডাক্তার দিয়ে কোনোমতে রোগীদের সেবা দিচ্ছি। নার্স যা আছে যথেষ্ট। ডাক্তার ও ল্যাব টেকনেশিয়ান পেলে এ হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, দৌলতখানে এখন ৫ জন ডাক্তার আছে। তার মধ্যে ২ জন ডেপুটেশনে আছেন। তাদের মধ্যে ১ জন ভোলা সদস হাসপাতালে। তিনি সপ্তাহে ২ দিন ভোলা সদর হাসপাতালে এবং ৪ দিন দৌলতখান হাসপাতালে কাজ করে। একজন ছুটিতে আছেন। আর বাকি ডাক্তাদের কর্মস্থলে থাকার কথা। তিনি আরো বলেন, ভোলা জেলায় যে সংখ্যক ডাক্তার থাকার কথা তার ৪০% ডাক্তারও নেই। এ বিষয়টি আমরা বারবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি আমাদের আরো ডাক্তার প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হলো অন্য জেলায় ডাক্তারদের পোস্টিং দেয়া হলে তারা আসেন না। সরকার নতুন করে ৭ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছে। নতুন ডাক্তার আসলে রোগীদের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।