নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের সবশেষ ২৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে হেরেছিল পাকিস্তান। পরপর দুই ম্যাচে হারের রেকর্ড ছিলো ৩৫ ম্যাচ আগে। এরপর মাঝের সময়টাতে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজসহ মোট ১১টি সিরিজে টানা জিতেছিল ২০০৯ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু চলতি সিরিজে তাদের এতো সব গৌরব ভুলিয়ে দিয়ে হারের স্বাদ চেনাচ্ছে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রায় তিন বছর পর রান তাড়া করে হারের স্বাদ পেয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে পেল টানা ১১ সিরিজ ও তিন বছর পর সিরিজ হারের বেদনা।
রোববার রাতে জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে ৭ রানের জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তাদের সিরিজ জয়। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। বুধবার হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে তারা।
প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র ১০ রান করেও অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে ৪টি ক্যাচ ও ২টি রানআউট করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতেছিলেন ডেভিড মিলার। তাই পরের ম্যাচটিতে ব্যাটের আক্ষেপটাই যেন মেটান তিনি। এবার অন্তবর্তীকালীন অধিনায়কত্ব পেয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
মিলারের ২৯ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যা তাড়া করতে নেমে বাবর আজমের ৫৮ বলে ৯০ রানের পরেও ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
অথচ ম্যাচের ১৯ ওভার শেষে ২ দলের স্কোর ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে ১৫৯ রান এবং পাকিস্তান ৫ উইকেটে ১৭৪ রান। ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত ১৫ রানে এগিয়ে থেকেও শেষপর্যন্ত ৭ রানে হারতে হয়েছে সফরকারীদের। কেননা উসমান শিনওয়ারির করা শেষ ওভার থেকেই ২৯ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ৬ রানে হারের পরেও এ ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। কিলার মিলার ঝড়ে ১৮৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ২৩ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন ও মিলার।
যেখানে ৭ বল থেকে মাত্র ৫ রান করেন ক্লাসেন। বাকি সব রানই আসে মিলারের ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকে মিলার ৪টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কার মারে মাত্র ২৯ বলে ৬৫ রান করেন। এছাড়া রেজা হেন্ডরিকস ২৮, জানেমান মালান ৩৩ এবং ফন ডার ডুসেন খেলেন ২৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৪ ওভারেই ৪৫ রান যোগ করেন ফাখর জামান এবং বাবর আজম। ৯ বলে ১৪ রান করে ফাখর ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাচের দখল প্রায় নিজেদের হাতে নিয়ে নেন বাবর এবং হুসাইন তালাত।
দুজন মিলে ৭৩ বলে গড়েন ১০২ রানের জুটি। ১৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১৪৭ রান। শেষ ৪ ওভার থেকে প্রয়োজন ছিল ৪২ রান। দুই সেট ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকায় জয়ের পাল্লা ভারী ছিলো পাকিস্তানের দিকেই।
কিন্তু এই শেষ ৪ ওভারেই ম্যাচটি খুইয়ে বসে পাকিস্তান। মাত্র ৩৪ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। বাবর আজম ৫৮ বলে এবং হুসাইন তালাত খেলেন ৪১ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। এ দুজনব্যতীত আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারলে ৭ রানের পরাজয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।