মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার সঙ্গে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় করা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তাদের ঘোষণার একদিন পর শনিবার রাশিয়াও চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে৷ চুক্তি থেকে সরে গেলে তাদের পক্ষে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আর কোনো বাধা থাকবে না৷
শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে টিভিতে প্রচারিত এক বৈঠকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন বলেন, ‘আমেরিকা যেহেতু চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে, তাহলে আমরাও তা বাতিলের ঘোষণা দিচ্ছি৷’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে মাঝারি পাল্লার পরমাণু অস্ত্র বা আইএনএফ চু্ক্তি থেকে পুরোপুরি সরে আসতে ৬ মাস সময় লাগবে তাদের৷ ট্রাম্প সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ছয় মাসের মধ্যে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার প্রক্রিয়া শেষ হবে, যদি না রাশিয়া চুক্তি ভঙ্গ করে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র, উৎক্ষেপণযন্ত্র ও আনুসঙ্গিক যন্ত্রাংশ তৈরি করেছে, তা ধ্বংস করে৷’
অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা থেকে নিজেদের মুক্ত করার একটি ‘অজুহাত’৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য একটি বিকল্প চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন৷ ‘আমি আশা করি, আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বসে একটি নতুন চুক্তি করতে পারব, যা আগেরটির চেয়ে অনেক ভালো হবে,’ বলেন তিনি৷ তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি৷
এদিকে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের ২৯টি দেশের সম্মিলিত সামরিক জোট ন্যাটো’র মহাসচিব ইয়েন্স স্টোল্টেনব্যের্গ যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণাকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন৷ ‘রাশিয়া চুক্তি ভঙ্গ করেছে৷ তাদের আগামী ৬ মাস অবশ্যই পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে অভিযোগগুলো নিয়ে কাজ করা উচিত, নতুবা চুক্তি বাতিলের পুরো দায়ভার নিতে হবে,’ এক টুইটে এমন মন্তব্য করেন তিনি৷
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, এই ছয় মাসের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সমাধান করার ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে কাজ করবে বার্লিন৷
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস মনে করেন, অস্ত্র বানানো নয়, সবার আলোচনার বিষয়বস্তু হওয়া উচিত অস্ত্র বিস্তার রোধ৷ চুক্তি ছাড়া রাশিয়ার জন্য অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘চুক্তি ছাড়া কোনো নিরাপত্তা বলয় থাকবে না৷’ যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে ফ্রান্স৷ আবার রাশিয়াকেও আগামী ছয় মাসে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবার আহ্বান জানিয়েছে তারা৷
১৯৮৭ সালে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় চীন ও রাশিয়া এই ঐতিহাসিক চুক্তি করে৷ চুক্তিতে সই করেন দুই দেশের দুই নেতা রোনাল্ড রিগান ও মিখাইল গর্বাচেভ৷ চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের কেউই স্থল থেকে পরিচালিত ৫শ' থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার (৩০০ থেকে ৩,৪০০ মাইল) দূরত্বে আঘাত হানতে পারে এমন ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার, তৈরি ও পরীক্ষা না করার বিষয়ে একমত হয়৷ চুক্তির পর দুই দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ২ হাজার ৬শ' মিসাইল নষ্ট করে৷
তবে অনেকেই মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আসল মাথাব্যথা রাশিয়া নয়, চীন, যদিও চুক্তিতে তারা কোনো পক্ষ নয়৷ সম্প্রতি চীন মাঝারি পাল্লার অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে৷ সূত্র: আরটিই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।