নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)’র চতুর্থ পর্বে বড় জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা ভেন্যুর খেলায় আবাহনী ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনের হ্যাটট্রিকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। বিজয়ী দলের হয়ে অপর দু’টি গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। রহমতগঞ্জের কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জোনাপিও একটি গোল শোধ দেন। এই জয়ে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে উঠে এলো আবাহনী। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ১২তমস্থানে নেমে গেল রহমতগঞ্জ।
একই দিন নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে লিগের আরেক ম্যাচে বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২-০ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে। এটা জামালের প্রথম জয়।
ঢাকা ভেন্যুর খেলায় কাল চ্যাম্পিয়নের মতোই খেললো আবাহনী। জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জকে পাত্তাই দেয়নি তারা। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে খেলতে থাকে ঢাকা আবাহনী। মাত্র পাঁচ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আবাহনীর সানডে সিজোবা। নইলে হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন তিনিও। এসময় গোলবারের খুব কাছে বল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৮ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো ব্যকহ্যাডে বিপদমুক্ত করতে যান রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার মানডে ওসাগী। কিন্তু বল পেয়ে যান আবাহনী ফরোয়ার্ড জীবন। দর্শণীয় হেডে গোল করে দলকে লিড এনে দেন তিনি (১-০)। মিনিট খানেক পরই গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের লম্বা কিক বক্সের বাইরে পেয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে সানডে সিজোবা রহমতগঞ্জের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের জোড়ালো শট নেন। ঝাপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক আরিফুল ইসলাম। কিন্তু ফিরতি বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন জীবন (২-০)। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+৪ মিনিট) ব্যবধান কমায় রহমতগঞ্জ। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে ফরোয়ার্ড সোহেল রানার ক্রসে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান সিও জোনাপিও (১-২)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তৃতীয় গোল আদায় করে নেয় ঢাকা আবাহনী। ৫০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ফিলস বেলফোর্টের থ্রু পাস বুঝে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন সানডে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক এগিয়ে আসলে, তাকে পেছনে ফেলে ফাঁকা পোস্টে সহজেই বল ঠেলে দেন সানডে (৩-১)। ৬৮ মিনিটে সোহেলের গোল কিক হেড করে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার। বাঁ পাশ থেকে লম্বা থ্রু পাস দেন বেলফোর্ট। বল পেয়ে বাঁ পায়ের উঁচু শটে ব্যবধান আরো বড় করেন সানডে (৪-১)। ম্যাচের অন্তিম সময়ে (৯০+৩ মিনিট) সানডে চিজোবার জোগান দেয়া বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন জীবন (৫-১)। শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
অন্যদিকে তিন ম্যাচ পর জয়ের হাসি হাসলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কাল নোয়াখালির শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে তারা ২-০ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে। জামালের আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো ও কিরগিজস্তানের ফরোয়ার্ড ডেভিড ব্রুস একটি করে গোল করেন।
তিনবারের চ্যাম্পিয়ন, সর্বশেষ আসরে রানার্সআপ। অথচ সেই শেখ জামালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা চরম হতাশার। প্রথম দু’ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ও মুক্তিযোদ্ধার কাছে হার। তৃতীয় ম্যাচে রহমতগঞ্জের সঙ্গে ড্র। চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামার আগে তিন ম্যাচে ৮ পয়েন্ট হারানো শেখ জামাল ও বিজেএমসির সমান ১ পয়েন্ট করে ছিল। জামালের কাছে হেরে বিজেএমসি পড়ে রইলো পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে। আর শেখ জামাল জিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান, ব্রাদার্স ও মুক্তিযোদ্ধাকে টপকে উঠে গেলো সপ্তমস্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।