বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা তনয়া বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনুপ্রেরণায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবারের মত এবারও অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের জন্য বিনামূল্যে বিনোদনের সুযোগ করে দিয়েছে সারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড পার্ক।
এই পার্কটির সবগুলো রাইড বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবে অটিজম ও প্রতিবন্ধিরা। ইতোমধ্যে অটিজম শিশুদের বিনোদনের সুযোগ করে দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই পার্কটি। প্রতিদিনই অনেক অভিভাবক তাদের প্রতিবন্ধি শিশুদের মেলায় নিয়ে এসে বিনোদনের সুযোগ নিচ্ছেন।
ভিন্নধর্মী এ পার্কটি বাণিজ্য মেলায় ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর চালু রয়েছে। পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, পার্কটি চালুর পর যখন দেখলাম প্রতিবন্ধি শিশুদের কোন বিনোদনের ব্যবস্থা নেই, পার্কের কোন রাইডে উঠতে দেয়া হয় না, তখন তাদের প্রতি সহানুভূতি থেকেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করি আমি। অটিজম-প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য রাইডগুলো সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেই।
মেলায় হাজার হাজার বিজ্ঞাপনের মাঝে প্রতিবন্ধিদের ফ্রি বিনোদনের বিজ্ঞাপন অনেকেরই নজর কাড়ছে। অনেকেই ভীড় জমাচ্ছেন এই পার্কে। ডা. সানজিদা ইসলাম নামের একজন অভিভাবক বলেন, আমার একটি ছেলে আছে প্রতিবন্ধি। আমি মেলা আসলে ছেলেকে বাসায় রেখে আসতাম। কারণ ছেলের বিনোদনের কিছু ছিল না। কিন্তু সারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ডের এই আয়োজনের কারণে আমার ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছি।
অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে আমার সন্তানও কিছুটা আনন্দের সুযোগ পাচ্ছে। এ জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পলাশের ভিন্নধর্মী আয়োজনের ব্যাপারে অনেকে যেমন উৎসাহ দিচ্ছেন ঠিক তেমনি মেলার অনেক আয়োজক ও স্টল মালিকেরা বিষয়টি পছন্দ করছেন না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নন পলাশ। তবে সমালোচনার চাইতে সহযোগিতাই বেশি পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী প্রতিবন্ধিদের জন্য ফ্রি বিনোদনের আয়োজন উদ্বোধন করেছেন। গতবছর মেলায় বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মণি পার্কে এসে অটিজম শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। দিপু মণি শিশুদের জন্য পোষাক ও খাবারের আয়োজনও করেছিলেন। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পার্কটি পরিদর্শন করেছেন।
এই পার্কটির ভিন্নধর্মী আয়োজনে সহযোগিতা করছে গেøয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আদি বাংলা, এশিয়ান টেক্সটাইল। মেলা চলাকালীন সময়ে অটিজম শিশুদের জন্য নানা উপহারের ব্যবস্থা করেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। বিনামূল্যে অটিজম শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো দুইবার এই পার্কটিকে পুরষ্কৃত করেছে। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের প্রেরণার বিষয়ে মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, আমার পার্কটিতে অটিজম-প্রতিবন্ধি শিশুদের পাশাপাশি ছিন্নমূল শিশুদের জন্য বিনোদন ফ্রি। শিশুরা বিভিন্ন রাইডে উঠতে পেরে যে নিঃষ্পাপ হাসি দেয় তখন আমার প্রাণ ভরে যায়।
এজন্যই আমার আয়োজন। যতদিন পারি আমি অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের শিশুদের জন্য কাজ করে যাব। পলাশ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয়া বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অটিজমদের নিয়ে নানা কাজ আমাকে উৎসাহ প্রদান করেছে। তার কাজের প্রেরণায় আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।