নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বার্সেলোনার ভয়ংকর রূপ হয় বড়ই নির্মম। দুই বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির বিপক্ষে চার গোলে পিছিয়ে থেকেও ঘরের মাঠে ছয় গোল করে প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করেছিল বার্সা। অত দূরে যেতে না চাইলে এই কিছুদিন আগেই লা লিগায় জিরোনাও সেটা ভালোভাবে টের পেয়েছিল। এবার কোপা দেল রেতে দেখল এর নির্মম সাক্ষি হলো সেভিয়া। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠ থেকে ২-০ গোলে হেরে এসেছিল মেসিবিহীন বার্সা। নিজেদের মাঠে সেভিয়াকে এর নির্মম জবাব দিয়েছে ৬-১ গোলে উড়িয়ে। দুই লেগ মিলে ৬-৩ গোলে এগিয়ে আসরের সেমিফাইনালে উঠেছে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা
বুধবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে বিজয়ী দলের পক্ষে জোড়া গোল করেন কুতিনহো। একটি করে গোল পান ইভান রাকিটিচ, সার্জিও রবার্তো, লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসি। সেভিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অ্যারানা।
ম্যাচের ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। মেসিকে ডি বক্সে ফাউল করেছিল সেভিয়া। সুযোগ পেয়ে স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ফিলিপ কুতিনহো। ফর্মের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা প্রিয় সতীর্থকে ফর্মে ফেরাতে কুতিনহোকে পেনাল্টি নিতে দেন মেসি। ২৪ মিনিটে আবারও পেনাল্টির বাাঁশি। এবারেরটা অবশ্য যায় সেভিয়ার পক্ষে। কিন্তু এভার বানেগার স্পট কিক বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন বার্সার অনিয়মিত গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। দ্বিতীয় গোলটির জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৩১ মিনিটে আর্থারের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন ইভান রাকিতিচ। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে যেন গোলের নেশায় পেয়ে বসে বার্সাকে। ৫৩ মিনিটে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান কুতিনহো। পরের মিনিটেই মেসির পাসে গোল করেন সার্জিও রবার্তো। বার্সা ৪, সেভিয়া ০।
৬৭ মিনিটে এসে সেভিয়ার পক্ষে একটি গোল করেন গিলের্মো আরানো। কিন্তু তাদের লড়াইয়ে ফেরার আভাস পরে আরো দুই গোল করে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় বার্সা। ৮৯ মিনিটে আলবার ভয়ংকর ক্রসে টোকা দিয়ে গোল করেন লুইস সুয়ারেজ। আর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে একজনকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে জাল কাঁপান মেসি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগাকে গুরুত্ব দিতেই আগের ম্যাচে দলে ছিলেন না মেসি। তার মানে কোপা দেল রেকে কম গুরুত্ব দেয় বার্সেলোনা। এমন সমালোচনা হয়ে আসছিল। কিন্তু এমন সমালোচনাকে উড়িয়ে দিলেন মেসি, ‘এটা বলা হচ্ছিল যে কাপের আশা ছেড়ে দিয়েছি বা এটি নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। বার্সেলোনায় আমরা সবকিছুর জন্য লড়াই করি। ’ এই ম্যাচ দিয়ে কোপা ডেল রে-তে গোলের ‘ফিফটি’ তুলে নেয়া মেসি বলেন, ‘গোলটি করার আগে আমি কয়েকটা সুযোগ মিস করেছি। কিন্তু ওরা কাজ সেরে রেখেছে এবং আমার গোলটা যখন হয়, তাঁর আগেই সব নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। দল অসাধারণ খেলেছে এবং আমরা পরের রাউন্ডে উঠে গেছি।’
এই ম্যাচ দিয়ে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন ব্রাজিল তারকা কুতিনহো, ‘লিও পেনাল্টি যেভাবে আমাকে নিতে দিল, তার এই আচরণই প্রমাণ করে সে কত বড়। লিওকে ধন্যবাদ আমাকে পেনাল্টি নিতে নেওয়ার জন্য, এটা দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করবে। আমরা জানতাম এবার উতরে যাওয়ার জন্য আমাদের ম্যাচের প্রথম থেকেই লেগে থাকতে হতো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।