নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্টের পর স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডে সিরিজেও হার মানল পাকিস্তান। বুধবার রাতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় প্রোটিয়ারা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম চার ওয়ানডে শেষে ২-২ সমতা থাকায় কেপটাউনের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি রূপ নেয় অঘোষিত ফাইনালে। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানকে ২৪০ রানে আটকে ফেলে। জবাবে ১০ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় প্রোটিয়ারা।
ব্যাট হাতে নেমে তৃতীয় ওভারে ও দলীয় ৮ রানে প্রথম ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম-উল-হক ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার ফখর জামান ও বাবর আজম। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২৪ রানে বাবর আউট হলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে জামানের ব্যাটে চড়ে রানের চাকা ঘুরছিলো পাকিস্তানের। বলের পাল্লা দিয়ে রান তুলে চলতি সিরিজে একমাত্র হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদও নেন জামান, থামেন ৭০ রানে।
জামানের মত বড় ইনিংস খেলতে পারেনি পাকিস্তানের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। বাবর ২৪, মোহাম্মদ হাফিজ ১৭, অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৩১, উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান ১০, শাদাব খান ১৯ রান করে আউট হলে বড় ও লড়াকু গড়ার পথ বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানের। তবে আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে মারমুখী হয়ে উঠেন ইমাদ ওয়াসিম। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মাত্র ৩১ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ওয়াসিম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪০ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও আন্দিলে ফেলুকুওয়াও ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৪১ রানের টার্গেটে ভালোই শুরু করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেট হারিয়েই শতরানে পৌঁছে যায় তারা। ওপেনার হাশিম আমলা ১৪ ও রেজা হেনড্রিকস ৩৪ রান করে আউট হন। তবে ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন আরেক ওপেনার ও উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। ইনিংসের শুরু থেকে মারমুখী মেজাজেই ছিলেন তিনি। ৪২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পরও দ্রুতই রান তোলার কাজটি সম্পন্ন করছিলেন ডি কক। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৩ রানে থেমে যান ডি কক। তার ৫৮ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।
দলীয় ১৪৬ রানে ডি কক ফিরে যাবার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে দলের জয়ের পথ মসৃণ করছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত সফল ডু-প্লেসিস ও ডুসেন। এ জুটি ১১৮ বল মোকাবেলা করে অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটি গড়ে ১০ ওভার বাকী রেখে দলকে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন। দু’জনই করেন সমান ৫০ রান করে । ডু-প্লেসিসের ৭২ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ডুসেনের ৬১ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ছিলো। ম্যাচ সেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডি কক ও সিরিজ সেরা হন পাকিস্তানের ইমাম-উল-হক।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ শেষে ১ ফেব্রুয়ারি কেপটাইন থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ২৪০/৮, ৫০ ওভার (জামান ৭০, ওয়াসিম ৪৭*, ফেলুকুওয়াও ২/৪২)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২৪১/৩, ৪০ ওভার (ডি কক ৮৩, ডুসেন ৫০*, আফ্রিদি ১/৩৪)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
সিরিজ সেরা : ইমাম-উল-হক (পাকিস্তান)।
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।